তুরস্কের হাতে সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা?

| সোমবার , ৪ আগস্ট, ২০২৫ at ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ

ইরানে মার্কিন সামরিক মোড়লগিরির পর বাঙ্কার বিধ্বংসী বোমার শক্তি অর্জনে উঠেপড়ে লেগেছে শক্তিশালী দেশগুলো। খবর বাংলানিউজের।

ভারত আর ইসরায়েলও এমন অস্ত্র তৈরির কাজ করছে। চীন চাইছে এমন বোমা কীভাবে ধ্বংস করা যায়, সেই পদ্ধতি বের করতে। কিন্তু সবার আগে বাজিমাত করে দিল তুরস্ক। দেশটি বাঙ্কার বিধ্বংসী বোমা সফল পরীক্ষা তো চালিয়েছেই। পাশাপাশি এমন এক বোমাও দেশটির হাতে এসেছে, যার ধ্বংস ক্ষমতা পৃথিবীর বুকে নরক নামাতে পারে। দুটি অত্যাধুনিক বিমান বোমা তৈরি করেছে তুরস্ক। দেশটি ১৭তম আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা শিল্প মেলায় গাযাপ আর হায়ালেত নামের বোমাদুটি দেখিয়েছে। সামরিক শক্তিতে দিনে দিনে দানবীয় হয়ে ওঠার প্রমাণ এভাবেই দিচ্ছে এককালে ইউরোপের রুগ্ন মানুষ বলে তাচ্ছিল্য পাওয়া তুরস্ক। দেশটির জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র বোমাগুলো তৈরি করেছে। হায়ালেত নামের পেনিট্রেটর বোমাটি তুর্কি এফ১৬ বিমান দিয়ে ব্যবহার করা যাবে। শক্তি পরীক্ষার জন্য বিমান থেকে একটি দ্বীপে বোমাটি ফেলা হয়েছিল। পাথরমাটি ভেদ করে বোমাটি ৯০ মিটার গভীরে ঢুকে বিস্ফোরণ ঘটায়। ১৬০ মিটার চওড়া দ্বীপটির পুরো প্রস্থজুড়ে, এমনকি সবচেয়ে দূরের স্থানেও বিস্ফোরণের ধাক্কা পৌঁছে গিয়েছিল। বোমাটির বাঙ্কার বিধ্বংসী ক্ষমতাও অনেক বেশি। রিইনফোর্সড কংক্রিটের বিরুদ্ধে আমাদের চেনাজানা বোমাগুলোর পেনিট্রেশন পাওয়ার আড়াই মিটারের মধ্যে। কিন্তু তুরস্কের নতুন এই বোমাটি সি৫০এর মতো শক্তিশালী কংক্রিটের ভেতর ৭ মিটার পর্যন্ত ভেদ করতে পারে।

২৫ মিলিমিটারের ইস্পাত কাঠামোর ওপরেও বোমাটি পরীক্ষা করা হয়। এরকম একাধিক স্টিলের খাঁচা এবং ১০ মিটার বালির স্তর পার হয়ে দেড় টন ওজনের কংক্রিটের দেয়াল ভেদ করতে সফল হয়।এভাবে বোমাটি ৬০০ মিটার গভীরে পৌঁছেছিল। ভূতের মতো শত্রুপক্ষের গোপনতম স্থানে পৌঁছে যাবে এর শক্তিশালী বিস্ফোরণ। তাই এর নামটিও ভূত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১০ বছরের ছেলেকে বিমানবন্দরে ফেলে রেখে বেড়াতে গেলেন বাবা-মা
পরবর্তী নিবন্ধ৫০০ বছর পর জেগে উঠল রাশিয়ার ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি