টেকনাফে করিম উল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জামাতা ২ দিনের রিমান্ডে

টেকনাফ প্রতিনিধি | বুধবার , ৩ নভেম্বর, ২০২১ at ৯:৫০ অপরাহ্ণ

টেকনাফে হাজী করিম উল্লাহ খুনের জট খুলতে চলেছে। এ ঘটনায় আটক জামাতা মোহাম্মদ হোসেনকে দুই দিনের রিমান্ড মনজুর করেছে আদালত। এ ছাড়া ঘটনার সাথে জড়িত অটোরিকশা চালক মো: এমরানকে (২৭) আটক করেছে পুলিশ।

প্রথমে ৩০ অক্টোবর শনিবার ঘটনার অন্যতম মাস্টার মাইন্ড মোহাম্মদ হোসেনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তারেক বুধবার (৩ নভেম্বর) কক্সবাজার আদালত ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে দু” দিন মঞ্জুর করে।

এদিকে, ঘটনার সাথে জড়িত অটোরিকশা চালক এমরানকে ১ নভেম্বর দিবাগত রাতে আটক করেছে পুলিশ। সে

টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মাঠ পাড়া গ্রামের মো: আয়ুবের ছেলে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, “এ হত্যাকান্ডে অন্যতম মাষ্টার মাইন্ড আপন মেয়ের জামাতার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তাকে দুদিনের রিমান্ড মনজুর করেছে আদালত। ইতিমধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত অটোরিকশা চালককেও আটক করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ে রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।”

জানা যায়, টেকনাফ পৌর সভার ৯ নং ওয়ার্ডের মৃত হাজী সাব্বির আহমেদের ছেলে হাজী করিম উল্লাহর মৃতদেহ গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের কচ্ছপিয়া ব্রিজের নিচ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। সে ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে কোথাও দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে যান। এ সময় তার মোবাইল বন্ধ ছিল। পরের দিন সকালে অজ্ঞাত মৃতদেহ হিসেবে পুলিশ উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর মর্গে প্রেরণ করে। ওই দিন সন্ধ্যায় পরিবার তার লাশ সনাক্ত করে। এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে নিহত হাজী করিম উল্লাহর জানানা শেষে টেকনাফ পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর স্ত্রী মুরশিদা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। এরপর থেকে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসআই তারেক রহস্যময় এ মামলার তদন্ত কাজ শুরু করেছে।

স্হানীয়রা জানিয়েছেন, হাজী করিম উল্লাহ ওই দিন রাতে নাস্তাসহকারে আপন মেয়ের ঘরে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মাঠ পাড়ায় দাওয়াতে অংশ নেন। সেখান থেকে অটোরিকশা যোগে ফেরার পথে খুনের শিকার হন। কিন্তু এ বিষয়টি প্রথম থেকেই ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করে হাজী করিম উল্লাহর স্ত্রী ও জামাতা। এ থেকে অনেকে সন্দেহের তীর ছুড়ে যে, এই খুনের মাস্টার মাইন্ড স্ত্রী ও মেয়ের জানাতা। কিন্তু স্ত্রী মামলার বাদী হওয়ায় পুলিশ সতর্কতার সঙ্গে মামলার তদন্ত কাজ পরিচালনা করে। তথ্য প্রযুক্তি, মোবাইল ট্র্যাকিং ইত্যাদির মাধ্যমে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা হাজী করিম উল্লাহর খুনের মাস্টার মাইন্ড হিসেবে আপন মেয়ের স্বামী মোহাম্মদ হোসেনকে চিহ্নিত করে। পরে অবশ্য ওই দিন রাতে মেয়ের ঘরে দাওয়াতে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করে তারা। অবশেষে মামলার প্রায় দেড় মাসের মধ্যে তাকে আটক করে রহস্য উন্মোচন করতে পেরেছে পুলিশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআরসা সেকেন্ড ইন কমান্ড হাসিম নিহত!
পরবর্তী নিবন্ধডিজেল-কেরোসিনের দাম বাড়ল