চিটাগং ইউনিভার্সিটি মডেল ইউনাইটেড নেশনস এসোসিয়েশনের (সিইউমান) আয়োজনে সপ্তম বারের মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন। ‘সহিংসতা রোধে শান্তিপূর্ণ সংহতির মাধ্যমে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণ’ প্রতিপাদ্যে গতকাল বুধবার চবির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে সম্মেলন।
এতে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে তিনশো শিক্ষার্থী অংশ নেন। এছাড়া নেপাল, আফগানিস্তান পূর্বতিমুর থেকে ৮ জন অংশগ্রহণ করেন।
আরশি ইরতিজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিইউমান এর সাধারণ সম্পাদক দেব জ্যোতি ধর। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সিরাজ উদ দৌল্লাহ, আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক, আইন অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর এবিএম আবু নোমান এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. আমির মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. আমির মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আমি বিশ্বাস করি আপনারা সংগঠনের মাধ্যমে অনেকগুলো বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাচ্ছেন। জাতিসংঘের মূল লক্ষ্যই হলো সারা পৃথিবীতে শান্তি স্থাপন করা, মানবাধিকার রক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচনসহ মানবকল্যানে কাজ করা। কিন্তু সেটা অনেকক্ষেত্রে সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি বলেন, সমাজের দারিদ্রতা বিমোচনের পরিবর্তে আমরা দারিদ্রতা তৈরি করছি। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী বর্তমান পৃথিবীর ১ শতাংশ মানুষের কাছে সম্পদের ৬৩ শতাংশ। বাকি ৯৯ শতাংশ মানুষের কাছে ৩৭ শতাংশ সম্পদ রয়েছে। তাই অসম অবস্থার পরিবর্তনের জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।
সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয় পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনের জন্য। আপনারাও এর অংশ হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। টেকসই উন্নয়নের যে লক্ষ্য, তা অর্জনে আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি এ ধরনের সংগঠনে অংশগ্রহণ আপনাদের মেধাকে আরও বিকশিত করবে।
২০১৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা শুরু করা ক্লাবটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে কূটনৈতিক কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি নেতৃত্ব সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে। শিক্ষার্থীদের স্পিকিং, রিসার্চ, কমিউনিকেশান স্কিল ও স্কিল ডেভেলাপমেন্টের কাজ করছে সংগঠনটি।
