চট্টগ্রাম কক্সবাজার (আরকান সড়ক) ছয় লাইন–এর বাস্তবায়নে মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান, ব্যানারে ১১ জনের (নিহত) লাশের অবয়ব ধারণ করে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কে পদযাত্রা ও লাখো মানুষের গনস্বাক্ষর সংগ্রহ, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় প্রেস কনফারেন্স সহ নানান কর্মসূচি আমরা ঘোষণা করেছি। এই যুগান্তকারী দাবিতে দক্ষিণ জেলার বাসিন্দা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘দেশের আয়ের অন্যতম খাত পর্যটন। এই খাতে আয় বাড়াতে পর্যটন শহর কক্সবাজারে যাতায়াতের অন্যতম প্রধান মাধ্যম মহাসড়কটি ৬ লেন করা হোক। এটি শুধু চট্টগ্রামবাসীর দাবি নয়, পুরো দেশের দাবি।’ রাজধানী ঢাকা সহ সারাদেশের পর্যটক বাহী গাড়িগুলো এই সরু সিঙ্গেল সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলছে।এই সড়কের সাথে সংযুক্ত পাহাড়, পর্বত, অরণ্য, নদী ও ঝর্ণা মেঘের দেশ অপরূপ সুন্দর পর্যটন সমৃদ্ধ পার্বত্য জেলা বান্দরবান। দেশের সীমান্ত ঘেষা বান্দরবান জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। যার যোগাযোগ মাধ্যম এই সড়ক। একটা বিষয় চুনতি অভয়ারণ্য ও সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং পরিবেশ রক্ষা, এ ক্ষেত্রেও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এর সমন্বয়ে বিশেষ কমিটি করে বিশ্বের অন্যান্য বনাঞ্চল সড়ক অনুসরণ করে সড়ক সমপ্রসারণ করা যায়। প্রয়োজনে বাইপাস সড়ক করা যায়। বন্যপ্রাণীর অবাধ চলাচলের জন্য প্রশস্ত উড়াল সেতু রাখা যায়। এ ছাড়াও বিপদজনক মোড়গুলো সোজা করা, যথাযথ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ, ড্রাইভারের যথাযথ প্রশিক্ষণ, মহাসড়কে লবণবাহী ট্রাক চলাচলের জন্য আলাদা নীতিমালা প্রণয়ন করে রাস্তা পিচ্ছিল হওয়ার সমস্যা দূরীকরণ। রিকসা ও সি এন জি চালিত ছোট যানবাহন এর আলাদা লেইন সহ হাটবাজার ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ওভারপাস ও আন্ডারপাস নির্মাণ। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার ও পাহাড় ঘেরা অরণ্য নগরী বান্দরবান এর পর্যটন প্রসার ও ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ এবং দুর্ঘটনা বিহীন নিরাপদ চলাচলের জন্য চট্টগ্রাম কক্সবাজার আরকান সড়ক ছয় লাইন জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হোক।