চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার দাবিতে লাখো মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দেশের আয়ের অন্যতম খাত পর্যটন। এই খাতে আয় বাড়াতে পর্যটন শহর কক্সবাজার যাতায়াতের অন্যতম প্রধান মাধ্যম মহাসড়কটি ৬ লেনে উন্নীত করা হোক। এটি শুধু চট্টগ্রামবাসীর দাবি না, পুরো দেশের দাবি। এই সড়কে দুর্ঘটনার পর দুর্ঘটনা হচ্ছে। প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই সড়কটি এখনো প্রশস্ত হয়নি। পাশাপাশি এই সড়কে কিছু গাড়িচালক আছে বয়সে কম। তারা বেপরোয়া গাড়ি চালান। আমি হাইওয়ে পুলিশকে বলছি, তারা যাতে আইন পকেটে না রেখে প্রয়োগ করে। দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের যানবাহনের প্রচুর চাপ রয়েছে। কক্সবাজার ও বান্দরবানে যাতায়াতের পাশাপাশি এই সড়ক ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য রসদ নেওয়া হয়। একটি সরু সড়কে এতচাপের কারণে প্রায় সময় দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার টানেলের মতো অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি প্রশস্ত করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেন বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহাইব বলেন, আমরা বিগত ৬ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি। সেখানে আমরা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছি সরকার যেন এর মধ্যেই আমাদের দাবি মেনে নেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা আজকে লাখো মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছি। আমরা খবর পেয়েছি, যোগাযোগ উপদেষ্টা অত্যন্ত তৎপর হয়েছেন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ সোহাইবের সভাপতিত্বে এবং চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) প্রচার–প্রকাশনা সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেন বাস্তবায়ন পরিষদের সংগঠক মিজানুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন– চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দৈনিক আমার দেশের আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুর রহমান সাঈদী, সিইউজের টিভি ইউনিটের প্রধান তৌহিদুল আলম, ছয় লেন বাস্তবায়ন পরিষদের সংগঠক শফিকুল আলম, মুজিবুল হক, কে মাহমুদ ফয়সাল, সিইউজের নির্বাহী সদস্য আহসান হাবিবুল আলম। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শিল্পী, রুনা আনসারি, অ্যাডিশনাল পিপি মো. শরীফ, নিসচা চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিক আহমেদ সাজীব, রেজা মোজাম্মেল, আহমেদ মূসা, নয়ন বড়ুয়া জয়, আরফাত হোসেন বিপ্লব, আইনজীবী মো. জমির উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হায়দার চৌধুরী, জিয়াউর রহমান,সাইফুর রহমান চৌধুরী, আব্দুল জব্বার সাকিল, চৌধুরী সিয়াম ইলাহি, ইমতিয়াজ উদ্দিন খান, জুবাইর উদ্দিন আরমান, জিয়াদ, এস এম মঈন উদ্দীন, সিফাতুল মুনতাহা ও জান্নাতুল ফেরদৌস সামিয়া। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।