‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, চা শিল্পের প্রসার প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গতকাল দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় চা দিবস পালন করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সাথে অনলাইনে যোগ হয়ে চা বোর্ড চট্টগ্রামে ব্যাপক আয়োজনে দিবসটি পালন করে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলার চা বাগান মালিক, সিনিয়র প্লান্টারস, ক্ষুদ্রায়তন চা চাষী ও চা ব্যবসায়ী এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল হক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চা শিল্পের অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের চা বাগানগুলি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত এ দেশের চা শিল্পের পুনরুজ্জীবনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মূল প্রবন্ধে বলা হয় যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত তৎকালীন টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনিই ছিলেন চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান। তিনি চা শিল্পের উন্নয়ন এবং বিকাশে জীবনভর আন্তরিক ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান চা শিল্পে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি চা শিল্পের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন। চা বোর্ডের অনুষ্ঠানে চা শিল্পের সাথে জড়িত বাগান মালিক এবং ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ শিল্পের বিকাশে নানা পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান। দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্য হতে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।