কোটা সংস্কারের আন্দোলন চলাকালে কক্সবাজারের চকরিয়ায় সড়ক অবরোধ, পুলিশের ওপর আক্রমণ, সরকারি কাজে বাধাসহ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড, উসকানি দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে উপজেলা জামায়াতের রোকন মো. কফিল উদ্দিনকে (৩০)। গতকাল শুক্রবার বিকেলে চকরিয়া পৌরশহরের চিরিঙ্গাস্থ জনতা মার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অভিযান পরিচালনাকারী চকরিয়া থানার এসআই জামাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, এ সময় তার হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয় সাধারণ জনগণ ও শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া উস্কানিমূলক বিভিন্ন ফেসবুক পোস্টসহ বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে কথোপকথনের রেকর্ডসহ এন্ড্রয়েড মোবাইল।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, কোটা সংস্কারের আন্দোলন চলাকালে চকরিয়া পৌরশহরের চিরিঙ্গায় মহাসড়কে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়। (মামলা নম্বর– ৩৩, তারিখ– ২২ জুলাই ২০২৪)। এই মামলায় এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন– চকরিয়া উপজেলা জামায়াত ইসলামীর বর্তমান রোকন ও কঙবাজার জেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. কফিল উদ্দিন। তিনি চকরিয়ার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম সওদাগর ঘোনা গ্রামের মৌলানা এনামুল হকের ছেলে। চকরিয়া ইসলামী ছাত্রশিবিরের স্কুলপর্যায়ের সমন্বয়কারী আবু তোফায়েল (২৩)। তিনি চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের আকতার আহমদের ছেলে। চকরিয়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাসান, চকরিয়া উপজেলা ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি হাবিব উল্লাহ মিজবাহ, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সক্রিয় তিন কর্মী যথাক্রমে মো. বোরহান, সাদ্দাম হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম। এছাড়াও পেকুয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শিলখালী ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা রিদুয়ান ইসলামকে (২২)। তিনি চার নম্বর ওয়ার্ডের জনতা বাজার এলাকার মৃত আহমদ হোসেনের ছেলে।