বোয়ালখালীতে মেহেরুন্নেছা (২১) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। নিহত মেহেরুন্নেছা পৌরসভার পশ্চিম গোমদন্ডী আপেল আহমদ টেক এলাকার জাফর আহমদের মেয়ে এবং ৬নং পোপাদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সুযত আলীর বাড়ির প্রবাসী ফখরুল ইসলাম বাবুর স্ত্রী। মাত্র এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়।
নিহতের শ্বশুর তোফায়েল আহমদ বলেন, মেহেরুন্নেছা অসুস্থতাবোধ করলে তাকে আমরা দ্রুত উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে জানতে পারলাম সে স্ট্রোক করেছে। কিন্তু শ্বশুর পক্ষের এ দাবি মানতে নারাজ হাসপাতালে উপস্থিত নিহতের স্বজনরা। তারা মেহেরুন্নেছাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন। এ সময় নিহতের বড় ভাই আবু তাহের বলেন, এটা সুস্পষ্ট হত্যাকাণ্ড। আমার বোনের স্বামী দেশের বাইরে থাকায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন গত এক বছরের প্রায় সময় নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। সবশেষ গতকাল সুকৌশলে তাকে হত্যা করে ব্যাপারটা অন্যদিকে চালিয়ে দিতে পাঁয়তারা করছে তারা। এটা যে সুস্পষ্ট হত্যাকাণ্ড তা লাশের শরীরের আঘাতের চিহ্নই প্রমাণ দেয়। এ নিয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহিদা আকতার বলেন, স্ট্রোক করেছেন বলে গতকাল ওই গৃহবধূকে তার স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন, পরে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে মৃত ঘোষণা করা হয় তাকে। কিন্তু তার গলায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল করিম বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। রিপোর্ট পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর একই এলাকা থেকে অপর এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।