সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশালীন ছবি আপলোড এবং ব্যক্তিগত মোবাইলে ছবি ধারণ ও ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণের দায়ে সুনামগঞ্জ হতে এক ধর্ষক, অপহরণকারী এবং ১২ বছরের ভিকটিম কিশোরীকে আটক করেছে র্যাব-৭।
আটককৃতকে আজ সোমবার (৩ জানুয়ারি) হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার বিভিন্ন স্হানে অভিযান পরিচালনা করে ঐহারদাশ এলাকার মো. দিলু মিয়ার ছেলে মো. সুজন মিয়াকে(২৫) আটক এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানান র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক(মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নিয়াজ মোহাম্মদ চপল।
গত বৃহস্পতিবার মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক ব্যাক্তি র্যাব-৭ এ অভিযোগ করেন যে তার ভাগ্নি সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে এবং বাসা হতে বের হয়ে পরবর্তীতে আর ফিরে আসেনি। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭ ভিকটিমকে উদ্ধারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি, আধুনিক তথ্যপ্রযুুক্তি ব্যাবহার অব্যাহত রাখে। নজরদারির এক পর্যায়ে সিলেট রেলওয়ে থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং ধর্ষণকারীকে আটক করা হয়।
র্যাব-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে কৌশলে ভিকটিমের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জারে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকার অশালীন ম্যাসেজের মাধ্যমে তাকে বশীভূত করে। এছাড়াও এক পর্যায়ে আসামি কৌশলে ভিকটিমের কিছু ছবি তার মোবাইল ফোনে সংগ্রহ করে রাখে। তার সংগৃহীত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এবং নানা প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমকে অপহরণ করে সিলেটে নিয়ে যায়।
উদ্ধারকৃত ভিকটিম ও গ্রেফতারকৃত আসামিকে আজ সোমবার (৩ জানুয়ারি) হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা রাতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, “এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।”