পাহাড়ে আইনশৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে

সংসদীয় স্থায়ী বৈঠকে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

| শুক্রবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ at ৯:১০ পূর্বাহ্ণ

 

 

রাঙামাটি প্রতিনিধি ম

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সরকারের আইনশৃঙ্খলা অনুসরণ করেই পরিচালিত হয়ে আসছে। ব্রিটিশ আমল থেকেই পার্বত্য অঞ্চল বিশেষ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। শান্তি চুক্তির ফলস্বরূপ পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত হয়েছে। এ অঞ্চলের সকল সংস্থাগুলো আইনশৃঙ্খলার মাধ্যমেই পরিচালিত হয়। আইনশৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে। আমরা আইনশৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে পারলেই আমাদের স্বার্থকতা বাস্তবায়ন হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের এনেক্স ভবনের সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৈঠক শেষে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের অদৃশ্য শক্তি বলে কোনো কথা নেই। কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিংয়ের বিষয়টি একনেক সভায় উপস্থাপন করা আছে, পাশ হলেই আগামী অর্থবছরে কাজ শুরু হবে। পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি শৃঙ্খলা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। সম্মিলিতভাবে সকলেরই এতে অংশগ্রহণ থাকতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সকল জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে। বৈঠক শেষে পার্বত্য রাঙামাটির চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শন করেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং’য়ের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য ও বন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. মঈন উদ্দিন এমপি, শেখ আফিল উদ্দিন এমপি, জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা এমপি, উপজাতীয় শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা, পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধড্রামের খোলা ভোজ্যতেল বিক্রি বন্ধের দাবি
পরবর্তী নিবন্ধজব্বারের বলী খেলাকে ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ঘোষণার দাবি