নন্দিত গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান। তার আরেক পরিচয় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তাহসানের মা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। শৈশবে মায়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতেন তাহসান। তখন মায়ের প্রতি ছাত্রছাত্রীর সম্মান ও ভালোবাসা দেখেছেন। তাহসানকে বিষয়টি মুগ্ধ করতো! এই মুগ্ধতাই শিক্ষকতা পেশার প্রতি আগ্রহী করে তুলেছিল তাহসানকে। বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শিক্ষক দিবস পালিত হয়ে আসছে। শিক্ষকদের সম্মানার্থে ৫ অক্টোবর দিনটি পালিত হয়। বিশেষ এই দিন প্রসঙ্গে তাহসান বলেন, সত্যিকার অর্থে শিক্ষকতার মতো মহান একটি পেশা নিয়ে কিছু বলতে চাই না! কেননা দিবস উপলক্ষে যারা কথা বলেন তারা শুধু বলার জন্য বলেন। তাহসানের স্কুল জীবন কেটেছে এজি চার্জ স্কুলে। পরে নগরীর সেন্ট জোসেফ কলেজ থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি পাস করেন। ছোটবেলা থেকেই ভালো ছাত্র হিসেবে সুনাম ছিল। পরে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএতে। স্নাতক শেষ করে ২০০৩ সালে ইউনিলিভারে যোগ দেন তাহসান। ২০০৬ সালে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হন তিনি। ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে তার শিক্ষকতা জীবনের সূচনা। পরে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন তিনি। এক দশকের বেশি সময় শিক্ষকতা করেছেন তাহসান। শিক্ষকতা জীবনের অনুভূতি ব্যক্ত করে এই গায়ক-অভিনেতা বলেন, শিক্ষকতা জীবনে আমার ছাত্রছাত্রীদের মনে ইতিবাচক কোনো ভাবনা তৈরি করতে পেরেছি কিনা জানি না। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা বড় হয়ে যখন নিজের ক্যারিয়ারে ভালো করে এবং আমার কথা বিভিন্ন জায়গায় বলে এই স্যারের কাছে পড়ে আমি এত দূর এসেছি, তখন ভালো লাগে! এটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া।