এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাই পর্ব খেলতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করেন কোচ পিটার বাটলার। সমপ্রতি জর্ডান সফরে অংশ নেওয়া দলের তিনটি পরিবর্তন এসেছে এবারের স্কোয়াডে। বাদ পড়েছেন গোলরক্ষক মেঘলা রানী, ফেরদৌসী আক্তার ও মিডফিল্ডার শান্তি মার্ডি। তাদের জায়গায় দলে ঢুকেছেন গোলরক্ষক স্বর্ণা রানী, মিলি আক্তার এবং ডিফেন্ডার নিলুফা ইয়াসমিন। তবে সংবাদ সম্মেলনের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে সাবিনা খাতুন, সানজিদা ইসলাম ও মাসুরা পারভিনকে নিয়ে প্রশ্ন। তিনজনই দেশের নারী ফুটবলের পরিচিত মুখ। কোচের সঙ্গে দ্বন্দ্বের পর জাতীয় দলের বাইরে চলে গিয়েছেন তারা।
দলের কোচ বাটলার বলেন পুরোনো খবর নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। আমি ২৩ জন খেলোয়াড়কে বেছে নিয়েছি যারা আমার বিশ্বাস, এই প্রতিযোগিতায় সফল হতে পারে। আমরা অতীতের দিকে নয় ভবিষ্যতের দিকে তাকাই। সাংবাদিকদের এক পর্যায়ে সাবেক ফুটবলারদের প্রসঙ্গ তোলা নিয়ে কিছুটা বিরক্ত হন বাটলার। বলেন এই কক্ষে এমন কিছু মানুষ আছেন যারা বিতর্ক ভালোবাসেন। অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন। তরুণ এক খেলোয়াড়কে এমন প্রশ্ন করা ঠিক হয়নি। আপনারা প্রশ্ন করলে করুন আমাকে। এটা ঠিক যে পারফরম্যান্সের দিক থেকে জর্ডান সফর কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছে। শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ইন্দোনেশিয়া ও স্বাগতিক জর্ডানের সঙ্গে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। এই পারফরম্যান্স বাছাই পর্বে আত্মবিশ্বাস জোগাবে কি না, জানতে চাইলে বাটলার বলেন আত্মবিশ্বাস আর অহংকারের মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। আমি চাই আমার খেলোয়াড়েরা আত্মবিশ্বাসী হোক। কিন্তু সেই আত্মবিশ্বাস যেন অহংকারে পরিণত না হয়। একজন কোচ হিসেবে সেটা নিয়ন্ত্রণ করাই আমার কাজ। এএফসি এশিয়া কাপের বাছাই পর্বে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ আগামী ২৯ জুন বাহরাইনের বিপক্ষে। দ্বিতীয় ম্যাচ স্বাগতিক মায়ানমারের বিপক্ষে ২ জুলাই। আর তৃতীয় ম্যাচ ৫ জুলাই
তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে। বাংলাদেশ স্কোয়াড: গোলরক্ষক: রুপনা চাকমা, স্বর্ণা রানী মণ্ডল, মিলি আক্তার। রক্ষণভাগ: শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার (সিনিয়র), আফঈদা খন্দকার, জয়নব বিবি, নিলুফা ইয়াসমিন। মিডফিল্ড: মারিয়া মান্দা, মনিকা চাকমা, স্বপ্না রানী, কোহাতি কিসকু, মুনকি আক্তার, হালিমা আক্তার। আক্রমণভাগ: ঋতুপর্ণা চাকমা, শাহেদা আক্তার, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার (জুনিয়র), মোছাম্মত সাগরিকা, সুরভী আকন্দ, মোছাম্মত সুলতানা, নবীরণ খাতুন, উমেহলা মারমা।