আনোয়ারায় মেরিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের রুমে বিদ্যালয় শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক হামিদুল হক ও সহকারী শিক্ষক জামাল উদ্দিনের মাঝে মারামারি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
আজ শনিবার দুপুর একটায় মেরিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আকিমুল ইসলামের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। ঘটনাটি নিয়ে স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মেরিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকেরা দুই গ্রুপে বিভক্ত। এলাকার কিছু ব্যক্তি এসব কাজে ইন্দন জোয়ায়। এবং শিক্ষকদের নানা অপকর্ম দামাচাপা দেয়। এ নিয়ে এলাকার সাধারণ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ রয়েছে।
মেরিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আকিমুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুপুর একটার দিকে বিদ্যালয় শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক হামিদুল হক এসে আমার কাছে সহকারী শিক্ষক জামাল উদ্দিনের ছুটি চাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় মর্মে অভিযোগ করেন।
এরপর সহকারী শিক্ষক জামাল উদ্দিন এসে আমাকে বলেন, সরকারি প্রধান শিক্ষকের সাথে আমার পিকনিকের টাকা নিয়ে কাটা কাটাকাটি হয়েছে। এরপর দুইজনের মধ্যে উচ্চবাক্য বিনিময় হয়। পরে দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কলেজের সম্মানের কথা বিবেচনা করে আমি বিষয়টা সমাধান করতে চেয়েছিলাম।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী প্রধান শিক্ষক হামিদুল হক জানান, বিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফলাফল ভালো না হওয়ায় শিক্ষকদের পাঠদানের বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। শনিবার দুপুরে হঠাৎ করে সহকারী শিক্ষক জামাল উদ্দিন ছুটি নিয়ে চলে যেতে চাইলে আমি ক্লাস শেষ করে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সাথে তর্ক করতে থাকে।
এই ঘটনার বিসয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অবগত আছে। এরপর আমি অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আকিমুল ইসলামের কক্ষে গিয়ে ওনাকে অভিযোগ জানালে সেখানে শিক্ষক জামাল উদ্দিন উপস্থিত হয়ে ওনার সামনে আমাকে ক্ষিপ্ত হয়ে শারীরিক ভাবে মারধর করে। এ বিষয়ে আমি বন্দর পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক জামাল উদ্দিন জানান, সরকারি প্রধান শিক্ষকের সাথে আমি পিকনিকের পাওনা টাকার হিসাব চাইলে উনি আমার সাথে কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে অধ্যক্ষ রুমে আমার ওপর হামলা করে।
বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, মেরিনা একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক কর্তৃক হামলার শিকার হয়েছেন মর্মে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি তদন্তধীন আছে।
