কুমিল্লায় যুবদল নেতাকে ‘সাদা পোশাকধারী লোকজন বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে’ নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কুমিল্লা সদরের পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলামকে সাদা পোশাকধারী লোকেরা বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর নির্যাতন–নিপীড়ন চালিয়ে হত্যা করে। খবর বিডিনিউজের।
ফখরুল বলেন, জুলাই–অগাস্ট আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সমর্থন পাওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এমন বিচারবহির্ভূত হত্যা দুর্ভাগ্যজনক। এমন হত্যার ঘটনায় দেশবাসী হতবাক হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ড জনমনে নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার ও প্রশাসনে আওয়ামী দোসররা ঘাপটি মেরে থেকে রক্তাক্ত ঘটনা ঘটাচ্ছে কিনা, সেটি নিয়ে গভীর অনুসন্ধান জরুরি। ফখরুল মনে করেন, কোনো সরকারি বাহিনীই আইন হাতে তুলে নিতে পারে না। অপরাধী যত শক্তিশালীই হোক, তাকে বিচারের আওতায় আনা আইনের শাসনের অন্যতম শর্ত। কিন্তু তাকে কখনোই বিচার বহির্ভূতভাবে নির্যাতন করে হত্যার অধিকার সরকারি বাহিনীর নেই। আমি তৌহিদুল ইসলামকে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, কুমিল্লার এই নির্মমতা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলকেই মনে করিয়ে দেয়। মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার হলো–গুম, খুন ও বিচার বহির্ভূত হত্যা থেকে জাতিকে মুক্তি দেওয়া, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ভয়ভীতি থেকে দেশবাসীকে নিরাপদ রাখা। কিন্তু আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের পুনরাবৃত্তি হলে আবারও দেশে নৈরাজ্যের অন্ধকার নেমে আসবে। মানুষ এক অজানা আশঙ্কায় দিনাতিপাত করবে। বেআইনি হত্যায় কখনোই সমাজে শান্তি–শৃঙ্খলা রক্ষা করা যায় না, এতে আইনের শাসনকে চরমভাবে অবজ্ঞা করা হয় এবং দেশকে ঠেলে দেওয়া হয় আদিম অন্ধকারের দিকে।