রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আরো বাড়বে

সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন দরকার সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৪ মে, ২০২৩ at ৫:২২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেছেন, রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আরো প্রসারিত হবে। চট্টগ্রাম থেকে বেনাপোল যেতে অনেক সময় প্রয়োজন হয়। রামগড় চালু হলে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে যেসব পণ্য আমদানিরপ্তানি হয় তা আরো কম সময়ে ও কম খরচে আমদানি করা সম্ভব হবে। অর্থনৈতিক বিবেচনায় তা সারা দেশের জন্য ইতিবাচক। মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, চট্টগ্রাম বন্দর ও মাতারবাড়ীর গভীর সমুদ্র বন্দরের মতো সুফল কাজে লাগাতে রামগড় স্থলবন্দর অধিক ভূমিকা রাখবে। গতকাল সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, রামগড় স্থলবন্দরকে কেন্দ্র করে মীরসরাইফটিকছড়িসহ উত্তর চট্টগ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে ফেনী নদীর উপর নির্মিত বাংলাদেশভারত মৈত্রী সেতু, যা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে রামগড়কে সংযুক্ত করেছে। তাছাড়া বন্দর চালু হলে রামগড় থেকে ভারতের ওপর দিয়ে সিলেটের মাধবপুর পর্যন্ত নরসিংদীমৌলভীবাজার সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করা গেলে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও সিলেটে যাতায়াতের সুবিধা পাবে চট্টগ্রামবাসী। এদিকে ২৪ মে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হতে যাচ্ছে ৩৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বারৈয়ারহাটহেঁয়াকো রামগড় সড়কের প্রশস্তকরণ ও আধুনিকীকরণের কাজ, যা রামগড় স্থলবন্দরের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ করবে। এ প্রকল্পে থাকবে ২৪৯.২০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৯টি ব্রিজ ও ১০৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ২৩টি সেতু। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১০৭ কোটি ১২ লাখ টাকা। এছাড়া সড়ক নির্মিত হলে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি থেকে বিভিন্ন পণ্য রাজধানী ঢাকায় পৌঁছাতে সময় আরো কম লাগবে।

এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, স্থলবন্দর হতে সর্বোচ্চ ও কার্যকর সুবিধা পেতে চাইলে জরুরি ভিত্তিতে আরো কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা দরকার। সেগুলো হলো মীরসরাই সদরনারায়ণহাট সড়ক ৪ লেইনে উন্নীত করা, নাজিরহাটসুয়াবিলহারুয়ালছড়িকাজীরহাট এলজিইডি সড়ক সওজের আওতায় এনে অধিগ্রহণ করে ৪ লেইনে উন্নীত করা, নাাজিরহাট পুরাতন ব্রিজ ভেঙে নতুনভাবে করা, নাজিরহাট রেললাইনকে আধুনিকীকরণ ও প্রশস্তকরণ এবং বর্ধিত ৩৫ কিলোমিটার রেললাইন নতুন স্থাপন করে রামগড় পর্যন্ত সংযুক্ত করা, রামগড় স্থলবন্দর হতে ভারতের ত্রিপুরার উপর দিয়ে সিলেটের মাধবপুর পর্যন্ত নরসিংদীমৌলভীবাজার সড়কের সাথে সংযুক্ত করা এবং হাটহাজারী বাজারের উপর দীর্ঘ ফ্লাইওভার নির্মাণ অথবা বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা।

আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. হারুনের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক লায়ন দিদারুল আলম চৌধুরী, হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম রাশেদুল আলম, ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মো. আবু তৈয়ব, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুর মোর্শেদ ফিরোজ, সাদাত আনোয়ার সাদী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদ প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলালদীঘি ময়দানে ফিরছে রাজনৈতিক কর্মসূচি
পরবর্তী নিবন্ধ৩৮ সেবা নিতে ন্যূনতম কর বাধ্যতামূলক হতে পারে