পবিত্র জুমাতুল বিদা পালিত

বিশ্ব শান্তি ও করোনামুক্তির জন্য দোয়া

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৮ মে, ২০২১ at ৫:১৩ পূর্বাহ্ণ

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে পবিত্র জুমাতুল বিদা। এ উপলক্ষে বিপুল সংখ্যক রোজাদার মুসল্লী আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদসহ নগরীর বিভিন্ন মসজিদে জুমার নামাজে শরিক হন। নামাজের খুতবায় বিশ্ব শান্তি কামনা ও করোনা মুক্তির দোয়া করা হয়। নামাজ শেষে মোনাজাতেও মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা ও রহমত কামনা করেন তারা। রমজান মাসের শেষ শুক্রবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আদায় করেন জুমাতুল বিদার নামাজ। ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, রমজান মাসের সর্বোত্তম বা উৎকৃষ্ট দিবস হলো জুমাতুল বিদা।
জুমাতুল বিদার দিনে আজানের আগে থেকেই মুসল্লীরা আসা শুরু করেন মসজিদগুলোতে। বিশেষ করে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদে আজানের আগে থেকেই মুসল্লীরা মসজিদে জায়গা করে নেন। মুসল্লীদের প্রায় সকলেই ছিলেন মাস্ক পরিহিত। প্রথম দিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জায়গা নিলেও সময় বাড়ার সাথে সাথে মুসল্লীদের ভিড় বাড়ে মসজিদে। নামাজের আগ মুহূর্তে মসজিদ পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। ভেতরে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাইরের মাঠেও নামাজ আদায় করেন অনেকে। সেখানে জায়গা না পেয়ে মসজিদের সিঁড়িতেও জুমাতুল বিদার নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে অনেককে। শাহী জামে মসজিদে জুমাতুল বিদার নামাজে খুতবা ও ইমামতি করেন আওলাদে রাসূল (সা.) হযরত মাওলানা সাইয়্যেদ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন তাহের জাবেরী আল-মাদানী।
একইচিত্র ছিল জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদেও। নগরীর অন্য মসজিদগুলোতেও ছিল মুসল্লিদের বাড়তি ভিড়। নামাজে বন্দরনগরীসহ সারাদেশ ও জাতির সুখ, সমৃদ্ধি, কল্যাণ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য-শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে বৈশ্বিক মহামারী করোনা থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করা হয়। বছরের অন্যদিনগুলোতে সুখে শান্তিতে বসবাসের জন্য দোয়া চাওয়া হয়। মুসল্লীদের অনেকে চোখের পানি ছেড়ে আল্লাহর কাছে রহমত প্রার্থনা করেন। পাশাপাশি বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও নিহতদের জন্য দোয়া করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভারত ফেরত ১৯ জন চমেক হাসপাতালে কারো শরীরেই মেলেনি করোনা
পরবর্তী নিবন্ধমাহে রমজানের সওগাত