মাহে রমজানের সওগাত

মুহম্মদ মাসুম চৌধুরী | শনিবার , ৮ মে, ২০২১ at ৫:১৪ পূর্বাহ্ণ

যাকাতের বিধান সম্পর্কে মুসলমানরা ব্যাপক সচেতন নন। ইসলামের দৃষ্টিতে যাকাত কাদের দেওয়া যায় এবং কাদের দেওয়া যায় না, সে বিষয়টিও অনেকের বোধগম্য নয়। অথচ বিষয়টি অতি গুরুত্ববহ। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর পবিত্র কালামে পাকে বলেছেন, ফকির, মিছকিন, যাকাত আদায়কারী কর্মচারী, অনুরাগী অন্তর বিশিষ্ট লোকের মনোতুষ্টি, দাসত্ব মুক্তি, ঋণগ্রস্তদের ঋণ পরিশোধের জন্য এবং আল্লাহর পথে নিঃস্ব পথিকরাই যাকাত পাওয়ার উপযোগী। তারাই আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত, কাজেই এরাই যাকাত গ্রহণ করতে পারবে। এদের মধ্যে হতে অনুরাগী অন্তর বিশিষ্ট লোকদের বর্তমানে বাদ দেয়া হয়েছে। কেন না আল্লাহ পাক বর্তমানে ইসলামকে শক্তিশালী এবং তাদের থেকে মুসলমানদেরকে বেপরোয়া ও আত্মনির্ভরশীল করে দিয়েছেন। ১. ফকির : যার সামান্য সম্পদ আছে, ২. মিছকিন : যার কোন সম্পদ নেই, ৩. যাকাত আদায়কারী কর্মচারীদের কাজের অনুপাতে যোগ্যতানুসারে সরকার যাকাতের মাল হতে তাদের মাল দিবে, ৪. মুক্তির জন্য অঙ্গীকার আবদ্ধ দাসগণের সাহায্যার্থে যাকাতের টাকা দেয়া জায়েজ আছে, ৫. ঋণী ব্যক্তি : যার ঋণ পরিশোধের টাকা নেই, তাকেও যাকাতের টাকা দেয়া যাবে, ৬. যে ব্যক্তি টাকা পয়সার অভাবে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে যেতে অক্ষম। জিহাদে অংশগ্রহণ করার জন্য তাঁকে যাকাতের টাকা দিতে পারে, ৭. মুসাফির : যার নিজ দেশে যথেষ্ট সম্পদ রয়েছে, অথচ সে ভিন্ন দেশে সফরে গিয়ে অর্থশূন্য হয়ে পড়েছে, তাঁকে স্বদেশে পৌঁছার সাহায্যার্থে যাকাতের মাল দেওয়া যায়। অতএব, এই সাত প্রকার লোকদের যাকাত দেয়া যাবে। যাকাত দিতে ইচ্ছা করলে এই সাত প্রকার লোকদের কিছু কিছু করে দিতে পারে অথবা শুধু নির্দিষ্ট কোন এক প্রকারের লোককেও দিতে পারে। এতে কোন শরীয়তের বাধা নেই। জিম্মিকে যাকাত দেওয়া যায় না। যাকাতের অর্থে মসজিদ তৈরি করা, মৃতের দাফন করা ও মুক্তি দেওয়ার জন্য দাস কেনা যাবে না। ধণাঢ্য ব্যক্তিকেও যাকাত দেওয়া যাবে না। যাকাতদাতা তার বাপ, দাদা এরূপ ঊর্ধ্বনদেরকে, সন্তান, নাতী-নাতনী ইত্যাদি নিম্নতমদেরকে, মা-দাদী ইত্যাদি ঊর্ধ্বতনদের, আর স্ত্রীকে যাকাত দিতে পারবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপবিত্র জুমাতুল বিদা পালিত
পরবর্তী নিবন্ধভরাট চাক্তাই খালে যত শঙ্কা