ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবীর বাড়িতে তদন্ত কর্মকর্তাদের হানা

| শুক্রবার , ৩০ এপ্রিল, ২০২১ at ৭:৫৮ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো এফবিআই দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের এক সময়কার ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডি জুলিয়ানির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
তার ইউক্রেইন সংযোগ নিয়ে তদন্তের অংশ হিসেবে বুধবার এ তল্লাশি চালানো হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি। জুলিয়ানির আইনজীবী জানিয়েছেন, তার মক্কেল কোনো ধরনের আইন ভাঙার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টারের ইউক্রেইন কার্যকলাপ নিয়ে দোষারোপ করা যায় এমন তথ্য সং গ্রহে জোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন জুলিয়ানি। ওই নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত বাইডেন জয়লাভ করেন। তিনি ও তার ছেলে কোনো ধরনের অন্যায়ে জড়িত না বলে দাবি করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা জোরদার করতে ইউক্রেইনের কাছ থেকে সহযোগিতা চাওয়ার দায়ে ২০১৯ সালে ট্রাম্প অভিশংসিত হয়েছিলেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনেট পক্ষে থাকায় তাকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়নি। বুধবার তদন্ত কর্মকর্তারা নিউ ইয়র্কের সাবেক মেয়র জুলিয়ানির আপার ইস্ট সাইডের অ্যাপার্টমেন্টের পাশাপাশি পার্ক অ্যাভিনিউর কার্যালয়েও তল্লাশি চালায়। তারা ৭৬ বছর বয়সী আইনজীবীর ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসও জব্দ করেছে বলে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে। যেসব অভিযোগে এ তল্লাশি পরোয়ানা জারি হয়েছিল, তার মধ্যে জুলিয়ানি যুক্তরাষ্ট্রে নিজেকে ‘বিদেশি এজেন্ট’ হিসেবে নিবন্ধনে ব্যর্থ হয়েছেন-এ অভিযোগও আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফরেন এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন’ আইন অনুযায়ী, দেশটির কোনো নাগরিক যদি অন্য কোনো দেশের হয়ে কাজ করেন, তাহলে তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাতে হয়। জুলিয়ানির আইনজীবী রবার্ট কস্টেলো তার মক্কেলের বাসা ও কার্যালয়ে তল্লাশিকে ‘আইনি ডাকাতি’ বলে অভিহিত করেছেন। এটা পুরোপুরি অপ্রয়োজনীয়। এমনভাবে তল্লাশি চালানো হয়েছে, যেন তিনি এক ধরনের অপরাধী, ফঙ নিউজকে এমনটাই বলেছেন কস্টেলো। জুলিয়ানি এর আগে তার বিরুদ্ধে চলা তদন্তকে ‘নিখাদ রাজনৈতিক নিপীড়ন’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবীর বিরুদ্ধে চলা তদন্ত নিয়ে কর্মকর্তারা এখনও তেমন কিছু জানাননি; জুলিয়ানির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগ আনা হবে কিনা তাও অজানা। যুক্তরাষ্ট্রের একজন ফেডারেল বিচারক জুলিয়ানির বাসা ও কার্যালয়ে তল্লাশির পরোয়ানাতে স্বাক্ষর করেন। তার মতো আইনজীবীদের বিরুদ্ধে পরোয়ানায় বিচার বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমোদনও লাগে বলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের সঙ্গে ট্রাম্পের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলাকালে ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে জুলিয়ানি রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের পক্ষে লড়া শুরু করেন। গত বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্প হেরে যাওয়ার পর কয়েকটি রাজ্যের ফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টায় রাজ্যগুলোর রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে কথা বলতে জুলিয়ানি সেসব রাজ্যও চষে বেড়িয়েছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনা ঠেকাতে লাঠি হাতে নারীরা
পরবর্তী নিবন্ধভারতে ১০ কোটি ডলারের সহায়তা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র