হাটহাজারী উপজেলার মীর নোয়াবুল হক মেমোরিয়াল হাই স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে দিনব্যাপী এক পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উৎসবে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের তৈরি করা প্রায় ৭৮ পদের পিঠা প্রদর্শন ও বিক্রি করা হয়।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকালের দিকে ফিতা কেটে বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত দিনব্যাপী এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন রাজনীতিক, সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী এম এ শুক্কুর।
এ উপলক্ষ্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম উদ্দিন রেজার সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মো. শাহ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী অফিসার এ.বি.এম মশিউজ্জামান। এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হাটহাজারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ড. সেলিম রেজা, এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রবীণ শিক্ষক ও শিক্ষানুরাগী নুর নাহার বেগম।
প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ বি এম মশিউজ্জামান বলেন, বাঙ্গালির চিরায়ত ঐতিহ্য পিঠা পায়েস এবং আতিথিয়তা সাধারণত শিক্ষাঙ্গনগুলি এ ধরণের ঐতিহ্য উজ্জীবনকারী কর্মসূচী পালন করেন। মীর নোয়াবুল মেমোরিয়াল হাই স্কুল এ মহতী এবং ঐতিহ্যবাহী কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। এজন্য আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ঠদের ধন্যবাদ জানাই।
তারুণ্যের উৎসব এর অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত এ উৎসবে আগত অথিতিরা নানা পদের পিঠার সমাহার দেখে সংশ্লিষ্ট ছাত্র-ছাত্রীদের ধন্যবাদ জানান। এ সময় শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মনোহর, নবান্ন, ভোজন রসিক, পার্বন, আপ্যায়ন, হাইলি আয়ু, ঐতিহ্য, লোকজ, পিঠাপুলি, পেঠুক, পিঠাকুঞ্জ, পিঠাঘর, রসের হাঁড়ি, হরেক রকম, ফুলঝুড়ি, তৃপ্তি, নকশী, পিঠা নিকেতন সহ মোট আঠারটি স্টল অংশগ্রহন করে।
স্টলে প্রদর্শনকৃত পিঠাপুলির মধ্যে টিপিন কেক, হাতে তৈরি কেক,চুটকী, পুলি, রংপুলি,সবজি রোল,চিকেন রোল,সবজি বরা,রঙিলা পাটিসাপটা, চিকেন অন্তুন, ঝাল পাকোড়া, সাগুর ক্রিম লাড্ডু, সুজির মোহনভোগ, কোকোনাট পাটিসাপটা, পাটিসাপটার রোল, হাপানি পিঠা, সুজি কেক, নকশি পিঠা, ভাজপুলি, মদু পুলি, চিতই পিঠা, ঝাল পিঠা, মালপোয়া, মেড়া পিঠা, মালাই পিঠা, মুঠি পিঠা, কাটা পিঠা, কলা পিঠা, খেজুরের পিঠা, ক্ষীর কুলি, গোলাপ ফুল পিঠা, রসফুল পিঠা, সুন্দরী পাকান, সরভাজা, পুলি পিঠা,পাতা পিঠা, পাটিসাপটা, পাকান পিঠা, নারকেলের সেদ্ধ পুলি, নারকেল জিলাপি, তেজপাতা পিঠা, তেলের পিঠা, তেলপোয়া পিঠা, চাঁদ পাকান পিঠা, ছিট পিঠা, পানতোয়া, জামদানি পিঠা, হাঁড়ি পিঠা, ঝালপোয়া পিঠা, ঝুরি পিঠা, ছাঁচ পিঠা, ছিটকা পিঠা, চিতই পিঠা, দুধ চিতই, হাতজারা পিঠা,বিনি পিঠা, খাজা পিঠা, রসপোয়া, তাল পিঠা, ডিমের ফুটিং, ঝিনুক পিঠা, চিকেন কিমা পরটা, রসগোল্লা, চিকেন স্টিক, আন্তাশা পাকন, লাচ্ছা সেমাইয়ের লাড্ডু, নারকেলের নাড়ু, মোগলাই পরটা, ফুলকপির পাকোড়া, নুডলুসের পাকোড়া, ডিমের পুডিং, সিঙ্গারা, সমুচা, সেন্ডুইচ,পাতা পিঠা, মরিচ পিঠা, ঝিনুক পিঠা, লাচ্চা পরটাসহ প্রায় ৭৮ পদের পিঠা দেখা গেছে।
সবশেষে আমন্ত্রিত অতিথিরা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার লাভ করেন বকুল ফূল স্টল (সর্বোচ্চ মান), পাক্কন স্টল (সৌন্দর্যের জন্য), পেঠুক স্টল (সর্বোচ্চ বিক্রি), তৃপ্তি স্টল (সর্বোচ্চ আইটেম)।