নগরীর দেবপাহাড় এলাকার লায়ন্স সার্ভিস কমপ্লেক্সের সেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। গতকাল দুপুরে পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, ১৯৮২ সাল থেকে লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগং স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যা অত্যন্ত প্রশংসাযোগ্য এবং অনুকরণীয়। জেলা প্রশাসক এ সময় লায়ন্স সার্ভিস কমপ্লেক্সের সেবা কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই লাখ টাকা অনুদানসহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। লায়ন্স সার্ভিস কমপ্লেক্সের সেবা কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করে লায়ন ও লিও সদস্যদের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের পাশাপাশি লায়ন সদস্যদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগংয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও লায়ন্স জেলা ৩১৫বি৪, বাংলাদেশের সাবেক জেলা গভর্নর ফোরামের চেয়ারম্যান একুশে পদকজয়ী ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক লায়ন এম এ মালেক অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসকের হাতে ক্লাবের পক্ষ থেকে বই উপহার দেন। তিনি বলেন, সম্মাননা ও উপহার হিসেবে বই প্রদানের এই সংস্কৃতি চালুর মাধ্যমে আমরা আমাদের মাঝে বইপড়ার অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে চাই। তিনি আরো বলেন, মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না। তবে আমি সহানুভূতি বলবো না, এটি আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। যারা এই পৃথিবীতে কম সৌভাগ্য নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন, তাদের প্রতি সেবার হাত প্রসারিত করা আমাদের দায়িত্ব।
লায়ন্স সার্ভিস কমপ্লেক্সের চিফ কো–অর্ডিনেটর সাবেক লায়ন্স গভর্নর লায়ন কামরুন মালেক বলেন, জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বিগত ৪২ বছর ধরে কম সৌভাগ্যবান মানুষের তরে লায়ন্স সার্ভিস কমপ্লেক্স কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের আর্থিক এবং প্রত্যক্ষ সহযোগিতার হাত আরো অবারিত হলে সেবা কার্যক্রমের পরিধি বৃদ্ধি করা সম্ভব। এ সময় তিনি এ বিষয়ে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করার আহ্বান জানান। সাবেক জেলা গভর্নর লায়ন ডা. শ্রীপ্রকাশ বিশ্বাস মানুষের প্রতি সহানুভূতি ও ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে আসার ক্ষেত্রে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান। লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগংয়ের প্রেসিডেন্ট লায়ন বাবুল কান্তি লালার সভাপতিত্বে ও লায়ন্স সার্ভিস কমপ্লেক্সের সেক্রেটারি লিও–লায়ন ডা. মেসবাহউদ্দিন তুহিনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন লিও–লায়ন রাজিব সিনহা। এছাড়া সাবেক কেবিনেট সেক্রেটারি লায়ন গোপালকৃষ্ণ লালা সার্ভিস কমপ্লেক্সের সেবা কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক কেবিনেট ট্রেজারার লায়ন তপন কান্তি দত্ত, সাবেক কেবিনেট ট্রেজারার লায়ন মো. মোসলেহউদ্দিন খান, লায়ন্স সার্ভিস কমপ্লেক্সের চেয়ারম্যান লায়ন ডা. গোপাল ভট্টাচার্য, লিও ক্লাব ও লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগংয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট লিও–লায়ন আবু নাসের রনি, কমপ্লেক্স ট্রেজারার লায়ন মো. আবদুর রব শাহীন, ক্লাবের সদ্য সাবেক সভাপতি লায়ন এম সোহেল খান, লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগংয়ের সেক্রেটারি ও লায়ন্স সার্ভিস কমপ্লেক্সের জয়েন্ট সেক্রেটারি লায়ন ইসমাইল চৌধুরী, ক্লাবের সেক্রেটারি (ইলেক্ট) ও লায়ন্স সার্ভিস কমপ্লেক্সের জয়েন্ট ট্রেজারার লায়ন মোহাম্মদ আইয়ুব এবং লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগংয়ের ট্রেজারার লায়ন বাসুদেব সিনহা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন লায়ন্স সার্ভিস কমপ্লেক্সের সাবেক চেয়ারম্যান লায়ন সিলভাস্টার বার্নাডেট, সাবেক ক্লাব সভাপতি লায়ন মোহাম্মদ ইসমাইল চৌধুরী, লায়ন এস কে পালিত, লায়ন সাধন কুমার ধর, ভাইস প্রেসিডেন্ট লায়ন ওয়াহিদ মালেক, লায়ন রোকেয়া জামান, লায়ন অনুপম মজুমদার, লায়ন লিটন কান্তি দত্ত, লায়ন মিলন কান্তি চৌধুরী, লায়ন মহাদেব ঘোষ, লায়ন মুনির আহমেদ, লায়ন মোহাম্মদ ইব্রাহিম, লায়ন মোহাম্মদ জিয়াউল কবির সোহেল, লায়ন ফারুক আহাম্মদ, লায়ন ডা. অশোক কুমার দে, সাবেক লিও ক্লাব সভাপতি লিও নাফিজ মিনহাজ, লিও সাজ্জাদ চৌধুরী ইভান, লিও রাহুল লালা, লিও তাসফিয়া আকতার, লিও রূপালী আকতার, ভাইস প্রেসিডেন্ট লিও শাহাদাত হোসেন সাইফ, লিও মিনহাজুর রহমান শিহাব, লিও বাঁধন ঘোষ, লিও মোহাম্মদ মাহফুজ, লিও নাজমুল হাসান, ক্লাব সেক্রেটারি লিও মাহমুদুন্নবী রানা, লিও সিয়াম উল্লাহ্, ট্রেজারার লিও রামিসা, লিও এমরান খান মেহেদী, লিও মিরাজ, লিও এনামুল, লিও তাসফিয়া, লিও সিয়াম, লিও মারিয়া দিলশাদ, লিও সানজানা তাহিয়া, লিও মাজহারুল, লিও সীমান্ত বড়ুয়া, লিও অপু, লিও উম্মে হাবিবা, লিও জয় বড়ুয়া, লিও সাকিব, লিও সরোয়ার, লিও তাসফিয়া, লিও সায়েদুল, লিও সাখাওয়াত, লিও মাজহারুল, লিও রাজেশ, লিও ওমন, লিও সুজন, লিও জয়, লিও সায়মা, লিও লুৎফুর, লিও বোরহান, লিও তুর্কি, লিও ফারসা, লিও ফাহাদ, লিও মিহান, লিও সিরাত, লিও তাসনিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে লায়ন ও লিও নেতৃবৃন্দ প্রায় শতাধিক রোগীর চক্ষু পরীক্ষা, ডায়াবেটিস পরীক্ষা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং লায়ন্স সার্ভিস কমপ্লেক্সের নিয়মিত সেবা কর্মসূচি এলোপ্যাথিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাসেবা এবং বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করেন।
