শিক্ষার্থীদের সাফল্য ও শিক্ষকদের পর্যবেক্ষণ

এমিলি মজুমদার | সোমবার , ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ১:১৯ পূর্বাহ্ণ


ক’দিন আগে ‘শিক্ষকদিবস’ গেল। আমি মধ্যম মেধার ছাত্রী ছিলাম, ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস ফোর পর্যন্ত আশকার দীঘির পারের ‘সালেহ্‌ জহুর হাই স্কুলে পড়েছি। পাড়ার বেশীরভার ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা ওই স্কুল দিয়েই শুরু। কল্যাণী দিদিমনি আর সালাম স্যারের কথা খুব ভালো মনে আছে, কারণ আমার প্রতি স্নেহ বোধকরি তাঁদের একটু বেশি ছিল। ক্লাসে ফার্স্ট হতাম বলে মোটামুটি সব শিক্ষকই ভালোবাসতেন। ক্লাস ফাইভে ‘খাস্তগীর স্কুলে ভর্তি হয়ে বুঝতে পারি এতদিন কুয়োতে ছিলাম, সমুদ্রে এসে পড়েছি। প্রথম পরীক্ষায় কোনভাবে পঞ্চম স্থান অধিকার করলেও এরপর আর কোন প্লেস কোনদিন কপালে জোটেনি। এরপর থেকে আমি মিড বেঞ্চের স্টুডেন্ট। প্রায় সব শিক্ষক শিক্ষিকার নামই মনে আছে, তবে আমি আলাদাভাবে কারো নাম নিতে চাইছি না। সব শিক্ষক শিক্ষিকাকেই আমি সমান শ্রদ্ধার চোখে দেখি এবং ভালোবাসি। যুগ পাল্টেছে, পাল্টেছে আমাদের জীবেনযাত্রা। বদলেছে শিক্ষা ব্যবস্থা,পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে শিক্ষকদের মাঝেও। আমাদের সময়কার বেশিরভাগ শিক্ষক এখনকার মত অর্থপিপাসু ছিল বলে আমার মনে হয় না। ব্যতিক্রমও ছিল কিন্তু সংখ্যায় ছিল নিতান্তই কম। আমাদের বাবা-মা’য়ের আমলে শিক্ষক ছিলেন আরোও বেশী নির্লোভ সৎ।
বর্তমানের শিক্ষকদের সম্পর্কে আমরা নানা মন্তব্য করি। সমালোচনাও যে করি না তাও বলবো না। বাস্তবচিত্র দুঃখজনক হলেও এখনও কিছু কিছু শিক্ষক আলোর দিশারী হিসেবে কাজ করছে এখনও কারো কারো জীবনে। ছেলেমেয়ে মানুষ করার দায়ভার বাবা-মায়ের ওপর থাকলেও, পরাশোনার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। শিক্ষাসংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে আমাদের বাচ্চাদের নিয়ে শিক্ষকদের পর্যবেক্ষণ মূল্যবান বলে আমি মনে করি। তাঁদের সাথে আলাপ আলোচনায় উপকৃত হতে পারে আমাদের সন্তানেরা, উপকৃত হতে পারি আমরা বাবা-মায়েরা। আজ তেমনি দুটো ঘটনা তুলে ধরছি। ঘটনা আমার জীবনের বললে ভুল হবে ঘটনা ঘটেছে আমার মেয়ের সাথে।
চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ, ক্লাস এইটের প্রথম সাময়িক পরীক্ষার খাতা দেখাচ্ছে। এই রেজাল্টের ওপর নির্ভর করবে কারা কারা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। পরীক্ষার খাতা দেখাচ্ছে। অন্যান্য গার্ডিয়ানের মত আমিও গিয়েছি মেয়ের খাতা দেখতে। নিয়মানুযায়ী অংক আর বিজ্ঞানে কমপক্ষে সত্তর নাম্বার, আর বাকী বিষয়ে ষাট পেলে তবেই সে বৃত্তি পরীক্ষা দেয়ার জন্য কোয়ালিফাই হবে। ভালো ছাত্রী হিসেবে সব শিক্ষক স্নেহের চোখে দেখেন মেয়েকে। ক্লাস সেভেনে ভর্তি হয়েছে এই স্কুলে। তবে এই অল্প সময়েই রেজাল্ট আর শান্ত স্বভাবের কারণে মোটামুটি সবার স্নেহধন্য হয়েছে। সাধারণত ভালো স্টুডেন্টদের বেশ মানসিক চাপে থাকতে হয় বলে আমার বিশ্বাস। কারণ শিক্ষক থেকে শুরু করে বাড়ির লোকজনদের তার ওপর অনেক আশা থাকে, আর এই ‘আশা’ শব্দটাই তাদের মানসিক চাপের মূল কারণ। প্রতিবার খাতা দেখাবার সময় টেনশনে মেয়ে ঠান্ডা হয় যায়। যাইহোক একটার পর একটা খাতা আসছে, দেখছি, হাইয়েস্ট অথবা হাইয়েস্টের চাইতে অল্প নাম্বার কম পাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর এলো অংক খাতা। প্রথম পাতার মোট সংখ্যাটাতে গিয়ে দৃষ্টি আটকে যায়। মেয়ের চোখ থেকে সাথে সাথেই টপ করে মোটা এক ফোঁটা জল টপাস্‌ করে সামনে রাখা খাতাটার ওপর পড়ে, নাকের দু’পাশ সংকুচিত প্রসারিত হতে থাকে। তা দেখে আমার হার্টবিট ক্ষণিকের জন্য স্তব্ধ। লালকালি দিয়ে বড় করে লিখা নাম্বারটা জ্বলজ্বল করছে ‘৬৯’। হাইয়েস্ট সম্ভবত ‘৯৫’ ছিল । মেয়ের মুখে কোন শব্দ নেই, চোখ দিয়ে টপাস্‌ টপাস্‌ পড়েই চলেছে। এই একটা ব্যাপারে আমি বড্ড দুর্বল, ছেলেমেয়ের চোখের জল আমি একেবারে সহ্য করতে পারি না। মুখে বলছি এক নাম্বারের জন্য আটকাবে না দেখিস, কিন্তু আমার বুকের ভেতরটাতে কে যেন হাতুড়ি পিটিয়ে চলেছে। অনেক কষ্টে চোখের জল চেপে রাখতে গিয়ে বুকে ভীষণ একটা চাপ অনুভব করছিলাম। ক্লাসের ছেলেমেয়েরা এসে ঘিরে ধরেছে, একে একে সবাই সান্ত্বনা দিয়ে যাচ্ছে, কিছুতেই মেয়ের চোখের জল পড়া বন্ধ হচ্ছে না। একটু বুদ্ধি হয়েছে অবধি মেয়ের ইচ্ছা ডাক্তারী পড়বে, অংকে ভালো নাম্বার না পেলে তো সায়েন্স পাবে না। চেষ্টাই করতে পারবে না নিজের মনের ইচ্ছেটা পূর্ণ করার। এ কারণেই বোধকরি মেয়ের এতটা কষ্ট হচ্ছে। আমি সবসময় ছেলেমেয়েদের ইচ্ছেটাকেই প্রাধান্য দিয়েছি, আমার ইচ্ছে কোনসময়ই ছেলেমেয়েদের ওপর চাপাতে চেষ্টা করিনি। তাই মেয়ের ইচ্ছে পূর্ণ হবেনা ভেবেই আমারও একটা চাপা কষ্ট হচ্ছিল। স্কুলে ভর্তি হয়েছে মাত্র একবছর। বড় স্কুল, শিক্ষকদের সাথে তেমন কথা বলার সুযোগ বা প্রয়োজন কোনটাই হয়নি আগে। খাতাটা উল্টে যাচ্ছি বারবার। প্রথম অংক পুরোটা শেষ করে লম্বা দাগ দিয়ে কেটে দিয়ে আবার করেছে, দ্বিতীয় অংকটাও পুরোটা করে কেটে আবার করেছে, তৃতীয়টাতেও একই করেছে। পুরো খাতাটাতে মোট পাঁচটা অংক একবার দু’বার করে কেটে তারপর আবার করেছে-কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। শিক্ষকদের কাছে গেলে মেয়ের আবার সেন্টিমেন্টে লাগবে। আর শুধু ঈশ্বরকে স্মরণ করছিলাম পথ দেখাবার জন্য যাতে মেয়ের মনস্কামনা পুরো হয়।
শক্ত হয়ে বসে খাতার পাতায় বারবার চোখ বুলিয়ে যাচ্ছিলাম-একটু পরেই জানিয়ে দেয়া হবে কারা সিলেক্টেড হয়েছে। অপেক্ষার ঘড়ি যেন শেষ হচ্ছিল না। মুখ দিয়ে তিতা উঠছিল। ক্লাসের ছেলে-মেয়েরা নিজেদের টেনশন ভুলে গিয়ে ওকে সান্ত্বনা দিতে ব্যস্ত। অবশেষে লিস্ট এলো : এ বি সি তিনটে গ্রুপ করেছে। মেয়ে অংকে কম নাম্বারের জন্য সি ’গ্রুপে স্থান পেয়েছে। আগের রেজাল্টগুলো রিভিউ করে, অন্যান্য বিষয়ে নাম্বার বিবেচনা করে হয়তো কন্সিডার করেছে মেয়েকে। যাইহোক টেনশনমুক্ত হয়ে বাড়িতে এলাম। কিন্তু আমার চোখের সামনে থেকে মেয়ের অংক খাতার ছবি কিছুতেই সরাতে পারছিলাম না। পুরো অংক করে করে কেটে দিয়েছে! একটা দুটো নয়, বেশ ক’টা অংকে একই কাজ করেছে! পড়ালেখা নিয়ে কোনদিন কিছু বলতে হয়নি মেয়েকে। আজও আলাপ করতে পারছিলাম না ওর মনের অবস্থা ভেবে, কি একটা ঝড় বয়ে গেছে ওর জীবনে আজ, যা আমাদের কারো কল্পনাতেও ছিল না। অংকের নাম্বার দেখে নয়, আমি ওর অংক করে কেটে দেয়া নিয়ে বেশী দুশ্চিন্তা করছিলাম। এভাবে করলে তো নাইন-টেন এ আরও বেশী সমস্যা হবে! ভেবে ভেবে কোন কুলকিনারা না পেয়ে, আমি বৃত্তি পরীক্ষার কো-অর্ডিনেটর, অংকের সিনিয়র শিক্ষক এম.এন.আই স্যারকে (মো: নজরুল ইসলাম) কল করে ডিটেইলে মেয়ের পরীক্ষার খাতার কথা আলাপ করি স্যারের সাথে। অংক করে করে কেটে দেয়া আমি কোনভাবে মেনে নিতে পারছিলাম না। স্যারকে রিকোয়েস্ট করি মেয়ের খাতাটা একটু দেখে আমাকে এ ব্যাপারে এ্যাডভাইস করার জন্য। স্যার জানালেন খাতাটা উনি দেখেছেন এবং উনার নজরে এসেছে সমস্যাটা। একজন শিক্ষকের একটা উপদেশ যাদুর মত কাজ করলো। স্যার আমাকে বললেন, “মেয়ের অংক নিয়ে টেনশনে এমনটা হচ্ছে। ও সব অংক বেশ ভালো পারে, তবে অংকে ওর ভীতি। আর এই ভীতির কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে আমার মনে হ্‌য়। ওর জন্য এমন অংকের শিক্ষক প্রয়োজন যে ওকে সময় দিতে পারবে, পাশে বসে অংক করাতে পারবে। তাই অভিজ্ঞ স্কুল শিক্ষক দিয়ে তেমন লাভ হবে না। আপনি একজন স্টুডেন্ট অংকের শিক্ষক দেবার চেষ্টা করেন, মেয়ে হলে ভালো হবে, ঠাণ্ডা মাথায় অংক করাতে পারবে।”
স্যারের কথাগুলো আমার খুব পছন্দ হয়। স্যারের পরামর্শ অনুযায়ী খোঁজ করে একটা মেয়ে প্রাইভেট টিউটর পেয়ে যাই। ফিজিঙ নিয়ে পড়ছিল চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটিতে। রোগাপাতলা খুবই সাধারণ একটা মেয়ে। বেশ সিন্সিয়ার ছিল মেয়েটা। খুব অল্প সময়েই ছাত্রী-শিক্ষিকার সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ট হয়ে ওঠে। এই মেয়েই আমার মেয়ের মধ্যে কনফিডেন্স আনে। মেয়েটার নাম শাহেদা সুলতানা। মেয়েকে এস এস সি পর্যন্ত পড়াতে পড়াতে শাহেদা বিসিএস দেয়। শাহেদা বলেছিল মেয়েকে পড়ানোতে ওর বি সি এস এ অনেক হেল্প হয়েছে। দুজনে দুজনার উপকারে এসেছে। ঈশ্বরের কৃপায় শাহেদা এখন র‌্যাব-এ এ্যাডিশনাল এসপি হিসেবে কাজ করছে। চোখের সামনে অতি অল্প সময়ে একজন অতি সাধারণ মেয়ে কিভাবে অসাধারণ হয়ে ওঠে, শাহেদা তার জলন্ত উদাহরণ। রোগা-পাতলা সিম্পল মেয়েটার সাহসিকতা এখন প্রশংসনীয়।এ পর্যন্ত অনেক সাহসিকতার পুরষ্কার জয় করে নিয়েছে শাহেদা, অংশগ্রহণ করছে বিভিন্ন দেশে মিশনে। সত্যিই শাহেদা আমাদের গর্ব।
মেয়ের বৃত্তি পরীক্ষার আগেরদিন সন্ধ্যার পর বৃত্তি পরীক্ষার কো-অর্ডিনেটর এম এন আই স্যার ফোন করে আমার সাথে কথা বলেন। জিজ্ঞাসা করেন মেয়ে কেমন আছে। তারপর আমাকে বললেন রাত ন’টার পর ও যেন না পড়ে। তাড়াতাড়ি খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিতে বললেন। স্যারের ফোন পেয়ে প্রথমে আমি ঘাবড়ে যাই । পরে সত্যিই আমার চোখে জল এসেছিল স্যারের দায়িত্ববোধ দেখে। আমি স্যারকে আশ্বস্ত করেছিলাম মেয়ে পরীক্ষার আগের রাতে পড়তে পারে না। রাতজেগে পড়ার অভ্যেস মোটেই ছিলনা মেয়ের ( বর্তমান চিত্র ভিন্ন , অনেক রাত পর্যন্ত পড়তে দেখি প্রায়ই )।
এর পর আমাকে আর অংক নিয়ে টেনশন করতে হয়নি। বৃত্তি পেয়েছে ট্যালেন্টপুলে, বোর্ডে স্থান ছিল ১৩তম। ক্লাস নাইন-টেন এ, কোন এক পরীক্ষায় মেয়ে ১০০ তে ১০০ পেয়েছিল অংকে। অংকের সমস্যা কেটে গেলেও নতুন এক সমস্যা দেখা দিয়েছিল ‘সোস্যাল সায়েন্স’ নিয়ে। কোনভাবেই এ+ উঠছিলনা মেয়ের। তখনও শরণাপন্ন হয়েছি শিক্ষিকার, সবাই তাঁকে আর.এ.সি ম্যাম হিসেবেই চেনে (রেশমিন আক্তার চৌধুরী)। ম্যাম তখন সহকারী অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এত বড় স্কুলের এত ব্যস্ততার মাঝেও কিন্তু ম্যাম বিনা পারিশ্রমিকে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে সময় দিয়েছিলেন বেশ কিছুদিন এস এস সি পরীক্ষার আগে, মন থেকে ভয় দূর করে জাগিয়ে তুলেছিলেন আত্মবিশ্বাস মেয়ের মনে।
এস এস সি পরীক্ষা চলছে, অংক পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ করে সবাই বের হচ্ছে একে একে, একটু তাড়াতাড়িই বের হচ্ছে অনেকেই, কিন্তু আমার মেয়েকে দেখছিনা। আমার বুকের ঢিপ্‌ ঢিপ্‌ বেড়েই চলেছে, নাহ্‌, মেয়েকে দেখা যাচ্ছে না। সবার শেষে শেষ ঘন্টা পড়ার পর মেয়ে ধীরে ধীরে বের হয়ে আসে, আমার প্রশ্নবোধক চাউনি দেখে একটু হেসে বলে পুরো দিয়েছি। আমার বুকের ওপর থেকে ওজনদার পাথরটা যেন নীচে পড়ল। বিকেলে অফিসের জন্য বের হচ্ছি, মেয়ের রুমের দিকে তাকাতেই দেখি মেয়ে টেবিলে বসা। আমার সাথে চোখাচোখি হতেই মেয়ের চোখদিয়ে টপ্‌ করে এক ফোটা জল গড়িয়ে পড়ে। আমার তো হার্টবিট বন্ধ হবার যোগায়। নিজেকে সামলে নিয়ে মাথায় হাত দিয়ে জিজ্ঞাসা করি কি হয়েছে? জল ভরা চোখ নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,”মামনি, আড়াই মার্কের একটা অংক ভুল হয়েছে। আড়াই মার্কস ভুল তো কি হয়েছে! আমি সাধ্যমত ওকে সান্ত্বনা দিয়ে অফিসে চলে যাই। কিন্তু কাজে কোনভাবে মন বসাতে পারছিলাম না। বাড়িতে ফিরে কাউকে বুঝতে না দিলেও টেনশনে শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম ভেতর ভেতর। ভাবছিলাম শুধু কি আড়াই মার্কস এর জন্য জলের এতো বড় বড় ফোঁটা ! রাতে ২-৩ বার উঠেও বসি, ঘুম আসছিল না কিছুতেই, শুধু মেয়ের চোখ থেকে জলের ফোঁটা চোখে ভাসছিল। রেজাল্টের সময় যত ঘনিয়ে আসছিল, টেনশন বাড়ছিল। রেজাল্ট অবশ্য ভালোই হয়েছে, সব সাবজেক্টেই এ প্লাস। তখন নাম্বার দেয়া হতো না, শুধু গ্রেড, তাই অংকে কত পেয়েছে জানা না গেলেও এস এস সি তে যখন বৃত্তি পায়, তখন অনুমান করি একশ না পেলেও কাছাকাছি নাম্বার পেয়েছে অংকে -এরপর এইচ. এস.সি’তে শাহেদা না থাকলেও আর অসুবিধা হয়নি মেয়ের। শিক্ষকের একটু গাইডেন্স, শিক্ষকের ওপর ভরসা দূর করেছে মেয়ের অংক ভীতি, জাগিয়েছে কনফিডেন্স। সব শিক্ষককে জানাই শ্রদ্ধা ।
লেখক : প্রাবন্ধিক

পূর্ববর্তী নিবন্ধআজাদীর সেকাল-একাল
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা