একটা ন্যাড়া বৃক্ষের শীর্ষ ডালে ঝুলে আছে একাদশী পূর্ণিমার চাঁদ।
সর্বনিম্ন শাখায় পাশাপাশি দুটো কাটামুণ্ডু।
তাদের দীঘল কালো চুল গড়িয়ে পড়েছে রাত্রি হয়ে।
মুণ্ডুটির একজনের চোখে দু’বেণী উড়িয়ে চলা দুরন্ত শৈশব।
খলবলানো হাসি আর প্রেমময় স্বপ্ন আটকে আছে।
অপরজনের অক্ষি কোটরে অগ্নি, বিদ্রোহ, প্রতিবাদ, মিছিল আর রাজপথ।
দুজনের ঠোঁটই রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত।
আর রক্তের রঙ এক, যেন তাজা রক্তজবা।
শিশির ভেজা সকালে মা পুজোর থালায় যে জবাটা সাজায় ঠিক তার মত।
রাত্রির নিস্তব্ধ আঁধারে ঝুলে থাকা চাঁদের আলো পড়েছে সবুজ ঘাসে।
আর সে সবুজে টপটপ করে ঝরছে রক্তাক্ষর।
লিখে যাচ্ছে মায়ের ভাষায় একটি নাম – বাংলাদেশ।