সমষ্টিগতদের সংস্কৃতি সর্বজনীন হওয়া জরুরি

মযহারুল ইসলাম বাবলা | রবিবার , ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৮:৪০ পূর্বাহ্ণ

ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী ছিল বাঙালির শহর কলকাতা। কলকাতাকে শাসক ইংরেজ সাজিয়েছিল লন্ডনের সাজে। কলকাতা হয়ে উঠেছিল প্রাচ্যের লন্ডন। কলকাতাকে কেন্দ্র করেই উপমহাদেশ জুড়ে গড়ে তুলেছিল ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য। ‘ভাগ কর এবং শোষণ কর’ নীতিতে বঙ্গভঙ্গের কূটচাল চেলেছিল চতুর ইংরেজ। সেই স্বপ্নের মোহভঙ্গে ক্ষুব্ধ ইংরেজ ১৯১২ সালে কলকাতা থেকে রাজধানী দিল্লি সরিয়ে নেবার পূর্ব পর্যন্ত ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী ছিল কলকাতা। ভারতবর্ষের অপরাপর জাতিসত্তার চেয়ে বাঙালিরা চিন্তা, কর্মে, মননে, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চাসহ রাজনীতিতেও ছিল অগ্রবর্তী। সেই বাঙালি সংস্কৃতির কলকাতা এখন অতীতের গৌরবময় ঐতিহ্য হারিয়ে বিপন্নপ্রায়। কলকাতার বাংলা ভাষার সাহিত্য এখনও মাথা উঁচু করে আছে বাংলাদেশের পাঠকের কারণে। বাংলা ভাষা ছেড়ে বাংলা সাহিত্যিকেরা মুম্বাই ছোটে নি বা সাহিত্যিক ভাষার কারণে ছুটে যাবার উপায় নেই বলে এখনো বাংলা সাহিত্য সৃষ্টিতে কলকাতার সাহিত্যিকেরা অবদান রেখে যাচ্ছেন। তবে বাংলা ভাষার পাঠক কিন্তু নিয়মিতভাবে কমে এসেছে। বাংলাদেশে যেমন পশ্চিমবঙ্গেও তেমনি। আমাদের দেশে প্রকাশনা শিল্পে উৎকর্ষ সাধনসহ প্রচুর বই প্রকাশিত হচ্ছে, তবে মোটা দাগের চটুল ও হালকা সেন্টিমেন্টের মাত্র ক’জন লেখকের বইই বাজারমাত করছে। সৃজনশীল গবেষণা, ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পন্ন লেখকের বই কিন্তু সে তুলনায় পাঠকপ্রিয়তা লাভে ব্যর্থ হচ্ছে। আমাদের তরুণদের মাঝে বিশেষ বিশেষ লেখকের চটুল বই কেনা এবং পড়া ফ্যাশনে দাঁড়িয়েছে। আমাদের জনসংখ্যার তুলনায় বই পড়ার পাঠক বাড়ে নি বরং আনুপাতিক হারে কমেছে। নতুন প্রজন্মের খুব কম সংখ্যকই বই পড়ে। বেশির ভাগই কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ফেসবুক আর আকাশ সংস্কৃতির জ্বরে আক্রান্ত। পাঠকপ্রিয়তা লাভেই বইয়ের গুণাবলি বিবেচিত হয় না। বইয়ের দার্শনিকতা ও ইতিহাস নির্ভরতাই ভালো বইয়ের চূড়ান্ত মাপকাঠি। সে সমস্ত গুণাবলি সমৃদ্ধ বই পাঠকপ্রিয়তা না পাবার মূলে রয়েছে আমাদের বিকলাঙ্গ চিন্তা-চেতনা সর্বোপরি রুগ্ন মানসিকতার তৎপরতা।
অবিভক্ত বাংলার অপরাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জেলা ও মফস্বলে বসবাসরত সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি বাংলা ভাষা-সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে সত্য, তবে সেখানেও হিন্দির আগ্রাসন ঢুকে পড়েছে। হিন্দি ছবি-সিরিয়াল, হিন্দি গানের ভক্তের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে বাংলা ভাষার ছবি, গান, সাহিত্য প্রীতি ক্রমশঃ পিছিয়ে যাচ্ছে। প্রায় আটাশ বছর আগে পশ্চিমবাংলার চব্বিশ পরগণা, হাওড়া, বর্ধমান, মেদিনীপুর, প্রভৃতি জেলায় শারদীয় পূজায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। বারোয়ারী পূজা মণ্ডপের মাইকগুলোতে হেমন্ত, সতীনাথ, শ্যামল, শচীন, মানবেন্দ্র, মান্না দে, তালাত মাহমুদ, সলিল চৌধুরী, সুচিত্রা মিত্র, সন্ধ্যা, ভূপেন, সাগর সেন, দেবব্রত প্রমুখ বাংলা গানের কিংবদন্তি গায়ক-গায়িকাদের জনপ্রিয় গান দিন-রাত বাজতে শুনেছি-দেখেছি। অন্য ভাষার গান তেমন বাজতে শুনি নি, দেখি নি। অথচ মাত্র ক’বছর পূর্বে শারদীয় পূজায় ঐ সমস্ত স্থানে গিয়ে দেখি সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। দেখি বারোয়ারি পূজা মণ্ডপে দিন-রাত মাইকে গান বাজছে, তবে বাংলা গান নয়, হিন্দি ছবির জনপ্রিয় গানগুলো, যেগুলোর বাদ্য-বাজনার আধিক্যে গানের কথা বোঝার উপায় থাকে না।
কলকাতার সুবিধালোভী মধ্যবিত্ত বাঙালি যেমন সর্বভারতীয় প্রতিষ্ঠার পেছনে ছুটতে গিয়ে বাংলা ভাষাকে পরিত্যাগ করে ইংরেজি-হিন্দি নির্ভর হয়ে উঠেছে, একইভাবে আমাদের দেশেও বিত্তবান এবং মধ্যবিত্তরা পার্থিব প্রতিষ্ঠার মোহে বাংলা ভাষার পাঠ্যক্রম পরিহার করে ইংরেজি মাধ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ভারতের প্রাদেশিক ভাষার ক্ষেত্রে কেন্দ্রিয় সরকারের কোন প্রভাব বা চাপ যে নেই তা যেমন বলা যাবে না; তেমনিও বলা যাবে না রাজ্য সরকারগুলোর সীমাবদ্ধতার কথাও। আমাদের ক্ষেত্রে তো তেমন আশঙ্কা নেই। তবে আমরা কেন ঐ একই পথে এগোচ্ছি? আমাদের অভিজাত শ্রেণী গণসমষ্টির বাইরে বিচ্ছিন্ন পৃথক এক জগৎ গড়ে তুলেছে। যার সাথে গণসমষ্টির কোন যোগসূত্রতা নেই। নেই কোন মিলও। অভিজাতরা তাদের নিজস্ব সুযোগ-সুবিধার মসৃণ জগৎটি গড়ে তুলেছে। অপরদিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ সুবিধাবঞ্চিত গণ-মানুষেরা এই সুবিধাভোগীদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত। রাষ্ট্রের যত সুবিধা একচেটিয়া বিত্তবান-অভিজাতরাই ভোগ করে যাচ্ছে এবং রাষ্ট্রের ক্ষমতাও তাদেরই হাতে। সমষ্টিগত মানুষ অধিকার এবং সুবিধা বঞ্চিত অতিসাধারণ এবং নিম্নমানের জীবনযাপন করলেও রাষ্ট্র ও শাসক শ্রেণী তাদের পক্ষে কখনো ছিল না এবং আজো নেই। আজকে আমাদের রাষ্ট্রভাষাও অবহেলিত এবং বৈষম্যের শিকার। আমাদের সমাজে মধ্যবিত্তের সুবিধাবাদী আকাঙক্ষা প্রবল থেকে প্রবলতর হয়েছে। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিক, বাংলা ভাষা-সংস্কৃতির রক্ষায় নানা কর্মকাণ্ডে যারা সক্রিয়ভাবে যুক্ত থেকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা-ভালবাসা অর্জন করেছেন, তাঁদের অনেকেই মধ্যবিত্তের আকাঙক্ষা মুক্ত নন। তাঁদের সন্তানেরা ইংরেজি মাধ্যমে এবং বিদেশে পড়াশোনা করছে। স্ববিরোধিতার রোগে আক্রান্ত এ সমস্ত বরেণ্য ব্যক্তিরা নিজেরা প্রচার মাধ্যমে যা বলেন নিজের ঘরে সেটা পালন করেন না। বিকারগ্রস্ত মধ্যবিত্তের আকাঙক্ষায় এই সকল ব্যক্তিবর্গ কার্যত অদ্ভুত প্রতারণায় নিজেদেরকে যুক্ত করে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছেন।
বিশ্বায়নের বিরূপ প্রভাবে ভাষা ও সংস্কৃতির স্বকীয়তা-বৈচিত্র এখন হুমকির কবলে। এর থেকে রক্ষা পেতে প্রত্যেক জাতিকে তার ভাষা-সংস্কৃতির রক্ষায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে। ভাষা বৈচিত্রের পৃথিবীতে বৈচিত্র থাকাটা আবশ্যক এবং জরুরিও। সমস্ত জাতিসত্তার ভাষা-সংস্কৃতি টিকে না থাকলে পৃথিবী বৈচিত্রহীন হয়ে যাবে। যা মোটেই কাঙিক্ষত হতে পারে না।
ভারতের রাষ্ট্রভাষা হিন্দি। তাই হিন্দির প্রভাব ভারতজুড়ে থাকবে, এটা খুবই স্বাভাবিক। প্রশ্নটা হলো বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও কি পশ্চিমবঙ্গের ন্যায় হিন্দির আগ্রাসন ঘটেনি? বেপরোয়া আকাশ সংস্কৃতির কারণে আমাদের দেশেও ঘরে ঘরে হিন্দি ছবি-সিরিয়াল হতে হিন্দি অনুষ্ঠান দেখার আধিক্য মারাত্মক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের সংস্কৃতিতেও হিন্দির অনুপ্রবেশ ঘটেছে। বেসরকারি টিভিগুলোতে-এর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। হিন্দি স্টেজ অনুষ্ঠানের আদলে এবং হিন্দি গানের প্রতিযোগিতার অনুকরণে আমাদের টিভি চ্যানেলগুলোতে চলছে একই ধারা। তবে ভাষা এখনো বাংলা এই যা ভরসা। তবু এগুলো অবশ্যই হিন্দির রিমেক ছাড়া অন্য কিছু নয়। পশ্চিমবঙ্গের ভাগ্যবরণ আমরা হয়ত করবো না। তবে হিন্দির এই আগ্রাসনে আমাদের সংস্কৃতিতে-রুচিতে যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে তা উদ্বেগজনক। আমাদের সমাজে হিন্দি সংস্কৃতির উগ্র প্রভাব বৃদ্ধির নমুনা আমরা নিয়মিতই দেখছি। পাকিস্তানি শাসকেরা দুই যুগব্যাপী আমাদেরকে উর্দুভাষীতে পরিণত করার প্রবল চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিল। অথচ আজকে বাংলাদেশের শিশু-কিশোর হতে সকল বয়সী মানুষের মধ্যে হিন্দি ভাষা-সংস্কৃতির প্রভাব প্রচলন নানাভাবে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।
সমপ্রদায়গত অভিন্নতা সত্ত্বেও ইরাক এবং তুরস্কের সংখ্যালঘু কুর্দি ভাষীদের ‘কুর্দিস্থান’ পৃথক রাষ্ট্রের দাবির মূলে রয়েছে কুর্দি ভাষা-সংস্কৃতি রক্ষার কুর্দি জাতীয়তাবাদী তাগিদ। দেশ দু’টির সংখ্যাগরিষ্ঠ আরবি এবং তুর্কি ভাষীদের নিষ্ঠুর দমন-পীড়নেও কুর্দি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-সংগ্রাম দমন করা সম্ভব হয় নি। বরং স্বায়ত্তশাসনের দাবিটি স্বাধীন পৃথক ‘কুর্দিস্থান’ রাষ্ট্রের দাবিতে পরিণত হয়েছে, যা সশস্ত্র রূপ পর্যন্ত ধারণ করেছে।
ফার্সি জাতিসত্তার ইরানের সঙ্গে আরবদের সমপ্রদায়গত মিলও জাতিগত অমিলের কারণে বৈরিতায় পরিণত হয়েছে। আরবদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেও পারস্য নিজেদের অধিক সমৃদ্ধ ফার্সি ভাষা-সংস্কৃতি ত্যাগ করে আরবি গ্রহণ করে নি। আরব ও ফার্সিদের জাতিগত বিরোধ-বিদ্বেষ সুদূর অতীতের ন্যায় আজও টিকে আছে। নানাভাবে এই বিরোধ বিদ্বেষের প্রতিফলন দেখা যায়। মুসলিম আরব রাষ্ট্রসমূহের আরব লীগে নিকট প্রতিবেশী ইরানকে অন্তর্ভুক্ত না করার মূল কারণটি জাতিগত ভিন্নতা। সমপ্রদায়গত অভিন্নতার চেয়েও জাতিগত ভিন্নতা আরবি-ফার্সি বিভাজনের ক্ষেত্রে কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
বিস্ময় এই যে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে পাকিস্তানি হানাদার পাঞ্জাবিদের বিরুদ্ধে তীব্র বিষোদ্‌গারের বিরূপ প্রভাব পড়েছিল ভারতীয় পাঞ্জাবিদের ওপর। বিক্ষুব্ধ ভারতীয় শিখ-পাঞ্জাবিদের প্রতিবাদের মুখে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সম্প্রচার বন্ধ হবার উপক্রম হয়। কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছিল। পাকিস্তানি এবং ভারতীয় পাঞ্জাবিদের সম্প্রদায়গত ভিন্নতা হার মেনেছিল তাদের জাতিসত্তার কাছে। মানুষ তার সবকিছু পাল্টাতে পারলেও জাতিসত্তাকে পাল্টাতে পারে না। যে কেউ হিন্দু থেকে খ্রিস্টান, বৌদ্ধ থেকে মুসলিম, ইহুদি থেকে শিখ ধর্মাবলম্বী তাৎক্ষণিক হতে সক্ষম হলেও, তার জাতিসত্তা পাল্টাতে পারে না। একজন বাঙালি বিলেতে পঞ্চাশ বছর বসবাস করে ইংরেজের সমস্ত কৃষ্টি-সংস্কৃতিতে পরিপূর্ণ অভ্যস্ত এবং পারদর্শী হলেও তার পক্ষে ইংরেজ হওয়া অসম্ভব। একই ভাবে কোন জাতিসত্তার কেউ অন্য জাতিসত্তায় পরিণত হতে পারবে না। আর জাতিসত্তার ভিত্তিমূলেই ভাষা।
একমাত্র ভাষা নির্ভর নির্ভেজাল এবং যথার্থ জাতীয়তাবাদী চেতনাই পারে গণতন্ত্রকে বিকশিত করে সকল মানুষের অধিকার ও সুযোগের সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে। তেমন প্রত্যাশা পূরণ আমাদের ক্ষেত্রে হয় নি। বারবার তা ব্যাহত হয়েছে। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের যে সাংস্কৃতিক উন্মেষ ঘটেছিল তাও বারবার পথ হারিয়েছে। ভাষা আন্দোলনের চেতনার ধারাবাহিকতায় স্বাধিকার আন্দোলন এবং সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। ভাষার দাবিটিই মুক্তিযুদ্ধকে চূড়ান্ত করেছিল। স্বাধীনতার পর সেই বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষা হলেও রাষ্ট্রভাষার সর্বজনীন প্রচলন ঘটে নি। বরং বৈষম্যের শিকার বাংলা ভাষা সাধারণের ভাষায় পরিণত হয়েছে। অপরদিকে বিত্তবান ও মধ্যবিত্তদের ক্ষেত্রে শিক্ষা-দীক্ষা এবং ভাষা-সংস্কৃতিতে বাংলার পরিবর্তে স্থান পেয়েছে হাওলাতি বিদেশি ভাষা। আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র জুড়ে ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠার প্রতিযোগিতা চরম আকার ধারণ করেছে। সমষ্টিগত উন্নতির বিষয়টিকে কেউ বিবেচনায় আনছে না। এই আত্মকেন্দ্রিকতার অবসান এবং সমষ্টিগত মানুষের মুক্তির মধ্য দিয়েই সমষ্টিগত মানুষের ভাষা-সংস্কৃতি সর্বজনীন হতে পারবে। অন্য কোন বিকল্প পথে সম্ভব হবে না। মূল ব্যাধিটি বিদ্যমান ব্যবস্থা; সেটির আমূল পরিবর্তন কেবল জরুরি নয়-অপরিহার্যও বটে।
নির্বাহী সম্পাদক, নতুন দিগন্ত

পূর্ববর্তী নিবন্ধভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা : ভজ্যমান পরিপ্রেক্ষিত
পরবর্তী নিবন্ধবাংলা ভাষার উৎপত্তি, ব্যাকরণ প্রণয়ন ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা