বাংলা ভাষার উৎপত্তি, ব্যাকরণ প্রণয়ন ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা

একুশের পথে চলা

ড. ইলু ইলিয়াস | রবিবার , ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৮:৪১ পূর্বাহ্ণ

বাঙালির আশা বাংলা ভাষা-বাঙালি জীবনে এর চেয়ে বড় কিংবা এর মতো দ্বিতীয় আর কোন সত্য আছে কি না তা নিয়ে ভাবতে বহুবার-প্রয়োজন হবে বড় পরিসরে গভীরতম নিষ্ঠাস্নাত গবেষণার। সেই সুদূর প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে বাংলাভাষী জনগণের সর্বপ্রকার প্রতিকূলতার প্রাচীর ভেঙে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাওয়ার প্রধান অবলম্বনই ছিল ভাষা ; তাই তো দেখতে পাই, বাংলা ভাষার প্রাচীন এক কবি ভুসুক ‘বাঙালি আভিধায় উদ্ভাসিত করে তোলেন গৌরবী আত্মপরিচয়-‘ভুসুক আজি বাঙালি বইলা’- সেই থেকেই বাংলা ভাষী জনগোষ্ঠীর জাতি নাম বাঙালি, অর্থাৎ বাংলা ভাষা থেকেই বাঙালি জাতি।
অতঃপর বিসর্পিল সময়ের অভিঘাতে বাঙালির জ্যোৎস্নাপ্লাবিত চন্দ্রাভিযানে আকস্মিক নেমে আসে অমাবস্যার নিকষ অন্ধকার; কিন্তু প্রাণ স্পন্দন তো থেমে থাকে না-উপরন্তু পথ যতই দুর্গম হোক অভিযাত্রীদের হাতে যদি থাকে আলোর মশাল, অন্ধকারের স্থায়িত্ব তখন স্বল্পই হয়। তাই বাঙালি ও বাংলা ভাষার উপর সেন রাজত্বের প্রশাসনিক ও ব্রাহ্মনিক অভিঘাত দীর্ঘস্থায়ী হতে পারেনি; পুনরায় শুরু হয় কালিক পথের নানামাত্রিক প্রতিকূলতাকে কখনো সাঙ্গ করে, কখনো প্রতিরোধে বাংলা ভাষার নবতর বৈপ্লবিক ও নান্দনিক অভিযাত্রা। সেই অভিযাত্রায় মধ্যযুগের দীর্ঘ সময়ের বিস্তীর্ণ পথ পেরিয়ে আধুনিক কালের বিশ শতকের মধ্যভাগে/পর্বে ১৯৫২-তে এসে অভিযাত্রী দল ঔপনিবেশিক অপশক্তির নখরাঘাত থেকে এই গর্বিত ঐতিহ্য ও অধিকারের সুরক্ষা ও সমুন্নতির দুরন্ত স্বপ্নবাসনায় সম্মিলিত কণ্ঠে তুলে নেয় দিগন্ত প্রকাশিত এক দীপ্র স্লোগান/উচ্চারণ-“রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই”।-বিশ্ব মানচিত্রে সৃষ্টি হয়/ জেগে ওঠে অশ্রুতপূর্ব, অদৃশ্যপূর্ব নতুন কোন মহাকাব্যের অসামান্য উপাদান। অতঃপর দু’দশকের দীপ্র সংগ্রাম শেষে নির্মিতব্য মহাকাব্যের মহাকবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ এর ৭ই মার্চে রেসকোর্স ময়দানে দশ লক্ষ বাঙালির সমাবেশে ঘোষণা দেন “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা”।-বাংলা জয়ের মন্ত্রে বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে-রচিত হয় বাঙালির যুগ-যুগান্তরের স্বপ্নস্নাত সেই মহাকাব্য-যার নাম ‘স্বাধীনতা’ অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ, সংবিধানে লেখা হয় ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা’। এভাবে বাংলা ভাষা হয়ে ওঠে বাংলার পরিমায়ু-বাঙালির প্রাণ।
মানব জীবনের এ এক বিপন্ন বিস্ময়, ইতিহাস মানুষই সৃষ্টি করে, আবার সেই ইতিহাসের বিকৃতিও ঘটায় মানুষ- দুরভিসন্ধিজাত কিছু দুষ্টু মানুষ, সাথে থাকে দুর্বল চিত্তের স্বার্থবাদী কতিপয় পন্ডিত সুধীজন। বাংলা ভাষার ইতিহাস রচনায়, উৎপত্তি অনুসন্ধানে, তথ্য উপস্থাপনে ও বিশ্লেষণে এরকম ঘটনাই ঘটেছে। ফলে বাংলা ভাষার উৎপত্তি বিষয়ের এই আলোচনায় আমাদের কিছু অপ্রিয় প্রসঙ্গ ও ভাষ্যের মুখোমুখি হতে হবে। না ঐ পন্ডিত সুধীজনদের বাতিল করে দেওয়ার কোন দুর্বিনীত অভিপ্রায়ে বাসনায় নয়, ভুলটুকু শনাক্ত করে সম্মিলিতভাবে শুদ্ধতার অভিযাত্রী হয়ে সঠিক ইতিহাস রচনার-ইতিহাসের মৌল সত্য উন্মোচনের লক্ষ্যে। কাজেই এই আলোচনা, পরীক্ষা পাসের পরামর্শ বা নির্দেশনা জাতীয় অগ্রজ পন্ডিতের অবিকল অনুকরণ-অনুসরণজাত শ্রেণি কক্ষের ছাত্রবোধ্য নিস্তরঙ্গ কোন ভাষ্য-বিবরণ হয়ে ওঠবে না- হতে পারে প্রশ্ন মুখর তর্ক বহুল, এমন কি সংক্ষুব্ধও।
ভাষা বিজ্ঞানী ড. মনিরুজ্জামান ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত তাঁর ‘বাংলা সংস্কৃত ও ইন্দো-ইউরোপীয় সম্প্রসারিত ঐতিহাসিক পুনর্গঠনতত্ত্বের ব্যবহার প্রসঙ্গ’ শীর্ষক গবেষণা অভিসন্দর্ভে বলেন-
“ভাষা হিসাবে বাংলা পৃথিবীর কয়েকটি শ্রেষ্ঠ ভাষার অন্যতম। কিন্তু এ ভাষার কারক-সংখ্যা, বিভক্তি পরিচয়, নত্ব-ষত্ব, ক্রিয়ার রূপ, সমাস, সন্ধি, লিঙ্গ, বচন, প্রকৃতি, প্রত্যয় প্রভৃতি আরোপন পদ্ধতিতে গড়া। অর্থাৎ অন্য ভাষার আদর্শ অনুসরণে সৃষ্ট। এগুলি কৃত্রিম, প্রাকৃত বা স্বভাবজ নয়। ব্যাকরণ প্রণেতাগণ বিশেষ উদ্দেশ্যে এই ব্যাকরণ প্রণয়ন করেন, হীনমন্যতাবশত পর ভাষার পরিভাষা বাংলাতে আরোপন করেন এবং যা নিতান্ত অসঙ্গত(যেমন নিজন্ত ধাতু, কারক প্রভৃতি) “বিপজ্জনকভাবে তা প্রয়োগেও দ্বিধা করেননি। ‘বাংলা সংস্কৃতের দুহিতা’- এই ধারণাই ছিল এহেন সর্বনাশা কীর্তির মূল।
এখন প্রশ্ন হলো ‘বাংলা সংস্কৃতের দুহিতা’-এই ধারণা কোত্থেকে এবং কীভাবে তৈরি/সৃষ্টি হলো? আর ধারণাই বা কেন, ভাষাবিদদের প্রামাণ্য গবেষণা কোথায়? কিংবা ব্যাকরণ রচয়িতাদের হীনমন্যতায়ই বা কেন?
এ প্রসঙ্গে স্মরণ করা যেতে পারে উইলিয়াম জোন্স ও তাঁর ‘এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল’- এ ১৭৮৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রদত্ত সংস্কৃত ল্যাতিন, গ্রীক ও জার্মানীয় ভাষাগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক বিষয়ক বক্তৃতার কথা। জোন্স ভারতে এসেছিলেন বিচারপতি হয়ে এসেই নিমগ্ন হলেন ভারতবিদ্যা চর্চায়, এক বছরের মধ্যেই ১৭৮৪ খ্রিষ্টাব্দে গভর্নর ওয়ারেন হেস্টিংস-এর পৃষ্ঠপোষকতায় কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করলেন ভারতবিদ্যা চর্চার কেন্দ্র ‘এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল, দুবছরের মধ্যে প্রকাশ করলেন ভারতবিদ্যা চর্চায় অর্জিত তাঁর অসাধারণ সব জ্ঞান-১৭৮৬ খ্রিষ্টাব্দে সোসাইটির সভায় প্রদান করলেন সংস্কৃত, ল্যাতিন, গ্রীক ও জার্মানীর ভাষাগুলোর উন্নত বৈশিষ্ট্য ও পারস্পরিক সম্পর্ক বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ এক বক্তৃতা, যাতে তিনি বললেন- “সংস্কৃত ভাষা এর প্রত্মপরিচয় যাই হোক না কেন, এক বিস্ময়কার সংগঠনমন্ডিত। এ ভাষা গ্রীকের চেয়ে উৎকৃষ্ট, ল্যাতিনের চেয়ে বিশদ এবং উভয়ের চেয়ে সুচারু রূপে পরিশীলিত। তবু এ ভাষা উভয়েরই সাথে-ত্রিয়ামূল ও শব্দরূপে বহন করছে এমন এক সুগভীর সম্পর্ক, যা কোনো আকস্মিক ব্যাপার নয়। এদের সম্পর্ক এত গভীর যে, এ ত্রিভাষা নিরীক্ষার সময় কোনো ভাষাবিজ্ঞানীই বিশ্বাস না করে পারবে না যে, এরা উৎসারিত হয়েছে কোনো অভিন্ন উৎস থেকে, যা সম্ভবত আজ বিলুপ্ত।”
অতঃপর ১৭৯৩ খ্রিষ্টাব্দে ইংল্যান্ডের ব্যাপ্টিস্ট মিশনারী সঙ্ঘের প্রতিনিধি হয়ে কলকাতায় এলেন উইলিয়াম কেরি; যথাসম্ভব রপ্ত করে নিলেন বাংলা ভাষা; অতঃপর কলকাতায় বাংলা ভাষায় বাইবেলের আলো ছড়িয়ে ব্রতী হলেন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের উদ্যোগ পর্বে-সেখানে তাঁরই পৌরহিত্যে ভট্টাচার্য পণ্ডিতরা অপূর্ব সোল্লাসে সংস্কৃত ভাষার অবিস্মরণীয় অভিধান অমরকোষ আর মুগ্ধবোধের মোহন মুগ্ধতায়/মুগ্ধতা ঢেলে নির্মাণ করতে থাকেন বাংলাভাষার অভিনব এক সংস্কৃত আনন-সাধুভাষা। বিদ্যাসাগর এই আগন্তুক সাধুভাষাকে যতই নমিত ও নান্দনিক করে তোলেন না কেন, তাতে কিন্তু সংস্কৃতের উৎকট ঘ্রাণ থেকেই যায়/ কমে না; ফলে ১৮৭৮ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘বাঙ্গালা ভাষা’ প্রবন্ধে সজোরে বলেন, “বাংলার অস্থি মজ্জা শোনিত, মাংস সংস্কৃতেই গঠিত। এভাবেই রটে রায় বাংলা সংস্কৃতের গর্ভজাত-সংস্কৃতের দুহিতা। এবং তারই আলোকে নিশ্চিন্তে নির্বিঘ্নে রচিত হয়ে যায় ঐ ভাষার নিয়ম শৃঙ্খলাজাত সূত্ররাজির সমন্বিত অনেক ব্যাকরণ গ্রন্থও-যার সূচনা হ্যালহেডে। উপনিবেশবাদী ইংরেজি ও উপনিবেশের প্রভুভক্ত প্রজা ও সংস্কৃত পন্ডিতদের এই সোল্লাসময় কর্মপ্রবাহের শতবর্ষের শেষ প্রান্তে, আকস্মিক আর্তনাদ করে ওঠলেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর ‘বাংলা উচ্চরণ’ প্রবন্ধে বললেন, “প্রকৃত বাংলা ব্যাকরণ একখানিও প্রকাশিত হয় নাই। সংস্কৃত ব্যাকরণের একটু ইতঃস্তত করিয়া তাহাকে বাংলা ব্যাকরণ নাম দেওয়া হয়।”
১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী লক্ষ্য করলেন, “বাঙ্গালা ভাষায় কিছু কম আড়াই শত বাঙ্গালা ব্যাকরণ লিখিত হইয়াছে।… সমস্ত বাঙ্গালা ব্যাকরণগুলিই দুই শ্রেণির লোক কর্তৃক দুই প্যাটেন্টে প্রস্তুত হইতেছে; একটি মুগ্ধ বোধ প্যাটেন্ট- গ্রন্থকার পণ্ডিতগণ আর একটি হাইলি প্যাটেন্টে- গ্রন্থকার মাস্টারগণ।… বাঙ্গালাটা যে একটা স্বতন্ত্র ভাষা… গ্রন্থকারগণ সে কথা একবারও ভাবেন না।”
আরও তিন দশক পরে বাংলা যে একটা স্বতন্ত্র ভাষা এই সত্যকে সামনে রেখে প্রথম বাংলা ভাষার পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ রচনায় নিবেদিত হন ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। ভাষিক বিশ্লেষণে তিনি দেখান যে, ভারতিক এর দুটি প্রধান ভাষারূপ প্রাচীন ভারতীয় আর্য ও বৈদিক এর প্রাচীন ভারতীয় আর্য থেকেই উৎসারিত হয় প্রাচীন কথ্য ভারতীয় আর্য ও সংস্কৃত; এ পর্যায়ে সংস্কৃত আপন আভিজাত্য নিয়ে অবিবর্তিতই থেকে যায় আর প্রাচীন কথ্য ভারতীয় আর্য অর্থাৎ আদিম প্রাকৃত-এর বিবর্তন প্রক্রিয়ায় প্রাচীন প্রাচ্য গৌড়ী প্রাকৃত ও গৌড়ী অপভ্রংশও বঙ্গ হয়ে বাংলা ভাষার সৃষ্টি তথা উৎপত্তি। অতএব তাঁর গবেষণালব্ধ সিদ্ধান্ত এই যে, ‘বাংলা সংস্কৃতের দুহিতা নহে, তবে দূর সম্পর্কীয়া আত্মীয়া বটে। ” দুহিতা ও দূর সম্পর্কীয়া আত্মীয়া- এ দুয়ের মধ্যে ব্যবধান তো সামান্য নয়, দুস্তর। সুতরাং বাংলা ব্যাকরণ তো হবে ভিন্নতর; সেই কাজেই ব্রতী হন ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রচণ্ড আশা জাগানিয়া বাঙ্গালা ব্যাকরণ। কিন্তু অনতিপরে ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের বাংলা সংস্কৃতের দুহিতা ভাবনাজাত ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ প্রকাশিত হওয়ার পর সেই প্রত্যাশার প্রদীপ আর একটা দীপ্ত হয়ে ওঠলো না। কিন্তু এদিকে বাংলা ভাষার জন্য বাঙালি প্রাণ বিসর্জন দিয় দেয়; তবু বাংলা ভাষার প্রকৃত উৎস মৌল সন্ধানে ড. মুহাম্মদ এনামুল হকের ছাত্রপাঠ্য ক্ষীণকায় ব্যাকরণ মঞ্জরী ব্যতীত আর কোন উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা দৃশ্যমান হলো না। তাই বলে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে এমনও নয়-১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে ভাষাবিজ্ঞানী হুমায়ুন আজাদ প্রস্তাব করেন খাঁটি বাংলা ব্যাকরণের একটি রূপরেখা; ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে ভাষাবিজ্ঞানী মনিরুজ্জামান সংক্ষুব্ধ হয়ে বলেন “সংস্কৃত ভারতীয় (ওহফরপ) হলেও এটা আর্যদেরই ভাষা,” অতঃপর ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে আমিও উত্থাপন করি বাংলা ভাষার ইতিহাস প্রসঙ্গে একটি নতুন প্রস্তাবনা। কিন্তু এ সব কিছু উপেক্ষা করে আমাদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে যা করলো তাতে একথা মনে করার যথেষ্ট কারণ থাকে যে, এর কর্তৃপক্ষীয় অন্ধতা ও বধিরতা এখনো ঘুচে নি।
এ কথা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, বিশিষ্টজনের অজ্ঞতার বিজ্ঞতায় অনেক সময় উপ্ত থাকে সমগ্রজাতির সর্বনাশের সূত্র রাজি। কাজেই সময় নষ্ট না করে সবারই সতর্ক হওয়া জরুরি-অতীব জরুরি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কার্যকর উদ্যোগ-সজীব, সপ্রাণ সচলতা। তবেই আমরা উন্মোচন করতে পারবো বাংলা ভাষার উৎপত্তির প্রকৃত উৎস ও নিত্যনতুন বিকাশের অনিত্য সূত্ররাজি। আর এভাবেই তো বিশ্ববাসী জানবে একুশ মানে উন্নত শিরে ও চিত্তে অবিরত এগিয়ে চলা।
একুশের বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীতে এই হোক আমাদের অগ্নিশপথ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসমষ্টিগতদের সংস্কৃতি সর্বজনীন হওয়া জরুরি
পরবর্তী নিবন্ধনারীদের পিছিয়ে রেখে সমাজ কখনও এগিয়ে যেতে পারে না