মাঘের মুক্ত আকাশ
সাদা তুলোর ভেলা
বিমল বসন্ত অপেক্ষমান
বসবে যেন হাট–বাজারে
সুখের প্রাণের মেলা।
বসন্ত!
এ যেন বারো মাসের মাহেন্দ্র ক্ষণ
নব যৌবনার শুভ্র সকাল
হীরে কুয়াশার মন।
এ যেন জল ভর ভর মাটির কলসি,
মধু–কুসুমের বন।
শিল্পীর মুখে অমৃত পাত্র,
বাচিক উন্নয়ন।
বসন্ত! এ যেন, কবির কবিতা,
নতুন অর্থ– শব্দের ভাঙাগড়া!
মনের ভাবে মন।
আর, দুর্বিপাকের দুঃখ ভুলে
নিরঙ্কুশ শব্দ সঞ্চয়ন!
বসন্ত!
এ যেন মধুপের অলিগলি,
মৌমাছিদের প্রণয় মোমের ঘর
হাতে হাত ধরে মিছিলের ভোরে
অকৃপণ ভালোবাসা,
মিলেমিশে সব দৃপ্ত কন্ঠ
তুমুল সমস্বর!
বসন্ত!
বসন্ত মানে কোকিলের কুহু,
পাখিদের কলতান।
বসন্ত মানে বাংলা আর
বর্ণমালার গান।
বসন্ত মানে শীতের থাবায়
ক্ষরায় মরা ফাটল,
বসন্ত মানে চলন্ত ট্রেন
স্বপ্ন বোনার শাটল!
বসন্ত মানে সহজপাঠের
মানদণ্ডের ছড়া!
বসন্ত মানে ঠকে ঠেকেও
নতুন করে গড়া।
বসন্ত! এ যেন,
তাঁতীর হাতের চড়কা বোনা
স্বপ্ন সুতোর বাড়ি!
ঘামের নোনা রঙিন রঙের
ঢাকাই, মণিপুরি!
বসন্ত আসে মন রাঙাতে
রাঙায় প্রকৃতি,
বসন্তে ভিজে বাসন্তী হয়
এক দামাল, দস্যু জাতি!
তারা বসন্ত মন, বসন্ত প্রাণ
চির বসন্তময়।
তাদের সাঁজি ভরা হলুদ গাঁদা
চির হরিৎ–এর মলয়।