চাঁদা একটা কালচারে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলের উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। চাঁদাবাজদের মদদ না দিতে তিনি সংসদ সদস্যদের প্রতিজ্ঞা করার আহ্বান জানান। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন। খবর বাংলানিউজের।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ একটি পত্রিকার রিপোর্ট উল্লেখ করে বলেন, ‘চাঁদা দে, নইলে গুলি’ এটি একটি গণমাধ্যমের হেডলাইন। যেখানে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে বলা হয়েছে। কিছু ঘটনা তারা লিখেছেন। একটি ঘটনা হচ্ছে, পশ্চিম মেরুল বাড্ডার শিরিন টাওয়ারের গলিতে ফুড কোর্ট নামে একটি ফাস্ট ফুডের দোকানের সামনে দ্রুত বেগে সাত থেকে আটটি মোটরসাইকেল থেমে যায়। মোটরসাইকেল থেকে ১০ থেকে ১২ জন নেমে ফাস্ট ফুডের দোকানে প্রবেশ করে। এদের মধ্যে এক যুবকের হাতে পিস্তল। দুই জনের হাতে ধারালো ছুরি। এরই মধ্যে পিস্তল হাতে থাকা যুবক দোকানের মালিক রায়হানের দিকে এগিয়ে যায়। চেঁচিয়ে বলে, ‘তোকে বলেছি যে ভাই ফোন দিয়েছিল। ১০ লাখ টাকা চেয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, তার কিছুদিন আগে মতিঝিল আওয়ামী লীগের সেক্রেটারিকে গুলি করে মারা হয়। তার স্ত্রী ডলি একজন কাউন্সিলর, তাকে এখনও নিয়মিতভাবে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য টেলিফোন হুমকি দেওয়া হয়।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, আজকে চাঁদা একটা কালাচারে পরিণত হয়েছে। রাস্তা দিয়ে যখন পরিবহনের ট্রাকগুলো আসে সেখানে চাঁদা দিতে হয়। সেই চাঁদা যোগ হয় দ্রব্যমূল্যের সাথে। আপনি একটি বাড়ি করবেন সেখানে বালি কে দেবে, ইট কে সাপ্লাই দেবে, রড কে সাপ্লাই দেবে এগুলোর জন্য দিতে হয় চাঁদা। হয় চাঁদা দিতে দিতে হবে নয়তো তাদেরকে সেই সাপ্লাইয়ের কাজ দিতে হবে। আজকে চাঁদাটা ভয়ঙ্কর ব্যাধির আকার ধারন করেছে। খুবই গরিব হকারদের কাছ থেকেও চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। চাঁদা নেওয়া হচ্ছে রিকশাওয়ালাদের কাছ থেকে। রিকশার যে স্ট্যান্ড সেখানে তাদের চাঁদা দিতে হচ্ছে। চাঁদা নেওয়া হচ্ছে সিএনজির যে মালিক, ড্রাইভার তাদের চাঁদা দিতে হচ্ছে। সমাজের প্রত্যেক জায়গায়, বিশ্ববিদ্যালয়েও আমরা অনেক কিছু দেখছি। এই চাঁদার যে কালচার ডেভলপ করছে এটার বিরুদ্ধে যদি আমরা একটা মুভমেন্ট না করি তাহলে আমাদের দেশের জন্য দুর্দিন সামনে আছে।