চলতি বছর আফগানিস্তানে হতাহত ছয় হাজার বেসামরিক

| বৃহস্পতিবার , ২৯ অক্টোবর, ২০২০ at ১১:০২ পূর্বাহ্ণ

চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে আফগানিস্তানে প্রায় ৬ হাজার বেসামরিক হতাহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। মূলত তালেবান বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীগুলোর তীব্র লড়াইয়ে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শান্তি প্রচেষ্টার উদ্যোগ সত্ত্বেও এ সময়টিতে বিদ্রোহীদের তৎপরতা বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
ইউএন অ্যাসিসটেন্স মিশন ইন আফগানিস্তানের (ইউএনএএমএ) ওই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে দেশটিতে ৫ হাজার ৯৩৯ জন হতাহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২ হাজার ১১৭ জন নিহত ও ৩ হাজার ৮২২ জন আহত। বেসামরিকদের ওপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব বিস্তারি উচ্চ মাত্রার সহিংসতা অব্যাহত আছে। আফগানিস্তান এখনও বেসামরিকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এবার হতাহতের সংখ্যা ৩০ শতাংশ কম হলেও ইউএনএএমএ বলছে, গত মাসে কাতারের রাজধানী দোহায় সরকারি ও তালেবান মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়ার পরও সহিংসতা কমেনি।
বেসামরিক হতাহতের ৪৫ শতাংশ ঘটনার জন্য তালেবান, ২৩ শতাংশের জন্য সরকারি সেনারা এবং ২ শতাংশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনী দায়ী বলে জানিয়েছে তারা। অবশিষ্ট অধিকাংশ হতাহতের ঘটনা দুই পক্ষের গোলাগুলির মাঝে পড়ে যাওয়ার কারণে অথবা ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের কারণে বা ‘অনির্ধারিত’ সরকারবিরোধী অথবা সরকারপন্থি বিভিন্ন উপদলের হামলার কারণে ঘটেছে।
জাতিসংঘ মিশন বলেছে, হতাহতের অধিকাংশ ঘটনা ঘটেছে স্থলযুদ্ধে। এরপর আত্মঘাতী ও রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমা হামলায়। তারপর তালেবানের পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডে এবং আফগান বাহিনীর বিমান হামলায়। সমপ্রতি আফগানিস্তানের বিভিন্ন অংশে লড়াই তীব্র হয়ে উঠেছে, যখন দোহায় সরকারি ও তালেবান মধ্যস্থতাকারীরা শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি তৈরিতে ব্যর্থ হচ্ছে। এসব লড়াইয়ে দুই পক্ষেই হতাহতের সংখ্যা বেশি হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনায় মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায় বায়ুদূষণ
পরবর্তী নিবন্ধনাছিমা বেগম দাখিল মাদ্রাসায় মিলাদুন্নবী (দ.) মাহফিল