কমল দীঘির পূর্ব পাড়ে মল্লিক চাচার ঘর
জারুল বৃক্ষের ঘাট নেমে গেছে আয়না পানিতে
সন্ধ্যা হলে নাইলন জাল নিয়ে বাবা
ধরতে যেতেন মাছ কমল দীঘিতে
মল্লিক চাচার ঘরের চৌকাঠে বসে শুনতাম;
উত্তরের কোণ থেকে ভেসে আসা
বাইবেলের অমিয় আরাধনা।
পূর্ণিমার আলো চিকচিক করতো দীঘির জলে
বাঁশের ভেলায় চড়ে বাবা চলে যেতেন দীঘির মাঝখানে
জাল ছুঁড়তেন সাঁ করে দুহাতে!
চাপেলি মাছে ভরতি নাইলনের জালকে মনে হতো-
তারাভরা রূপোলী আকাশ!
বাবা মুঠোভরে তারাগুলো ঝুড়িতে ভরতো,
তারা ভরা ঝুড়ি নিয়ে ফিরতাম বাড়ি
কাতালগঞ্জের পথ ধরে বাবা আর আমি,
শেখ বাহার উল্লাহ মসজিদের মিনার
থেকে ঠিকরে পড়তো মনোহারী আলো,
পাঞ্জাবি শাহ’র মাজার থেকে আসতো ভেসে
মোহময় লোবানের পুণ্যগন্ধ!
এইপথে এখন অনেক কিছু আছে
শুধু মল্লিক চাচার ঘর নেই
বাবা নেই
কমল দীঘিও নেই।