আমি মুগ্ধ হয়ে দেখি–
তোমার হাতের, বর্ণিল রঙের রঙছটায়—
কেমন তোমার হাতের জাদু–
আচ্ছা? তুমি কি প্রকৃতি–প্রেম
আর পাখিদের ছবি আঁকো?
নাকি একজন শঙ্কিত, সন্ত্রস্ত–
নারীর ছবি উঠে আসে–
তোমার হাতের জাদুর ছোঁয়ায়?
তুমি নিশ্চয় জানো! জয়নুল আবেদীনের –
সেই বিখ্যাত দুর্ভিক্ষের ছবির কথা!
(বাংলাদেশে ১৯৪৩ সালে)
সেই ১৯শ ছিয়াত্তরের মন্বন্তর হয়ে ফুটে উঠেছিল–
যা সাড়া ফেলেছিলেন পুরো বিশ্বে!
ঠিক, তেমনটি করে লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি–
মোনালিসাকে আবিষ্কার করেছিলেন!
নিপুণভাবে তাঁর হাতের জাদুর ছোঁয়ায়–
তা আজও অমর! অক্ষত!
শুনেছিলাম, পাবলো পিকাসো—
তৈলচিত্র, কিংবা জলরঙ দিয়ে
তুলির আঁচড়ে সাজাতেন মানচিত্র!
আর লুকিয়ে রচনা করতেন কবিতা!
যদিও সে কবিতা পড়ার সৌভাগ্য–
কখনওই হয়নি আমার!
আরেকটি কথা তোমাকে, না বললেই নয়!
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতার পাশাপাশি
তৈলচিত্রে ফুটিয়ে তুলতেন প্রকৃতি,
পাখি, আর নারী
তাঁর আঁকা ছবি ‘পূরবী’ কাব্যগ্রন্থের ‘পূরবী’
জগদ্বিখ্যাত হয়ে সাড়া ফেলেছিলেন!
সে তুমি জানো নিশ্চয়?
আর, এই যে দেখো? কলমের এলোমেলো খোঁচায়–
যেন আমি তোমাকেই খুঁজে পাই–
আঁকিবুঁকি করি তোমায় ইচ্ছে মতো!
তুমি থেকো, কল্পনায়, কবিতায়, ছন্দে–
আর আমার ভাবনায় যতো!