অন্দরের খবর ক’জনই বা রাখে!
উৎসুক জনতা তো ডুবে থাকে তাজা শিরোনামে—
ভরা বাজারের রোশনাইয়ে শিয়ালী চোখ করে চকমক!
রোজকার নরকবাস সয়েই গেছে আধুনিক চামড়া!
দালান ভাঙার মতো ভেঙে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে শিল্পমিনার—
সবকিছু ‘নাই’ হয়ে যাবে—এসব সাহিত্য, সংস্কৃতিও।
রাষ্ট্রের নিরাপত্তায় ফুটো দেখেও নির্লিপ্ত!
যেন রক্ত নেই, ঠোঁট নেই, মুখ নেই—
আলজিভও খ’সে গেছে টিকটিকির লেজের মতো!
রাগ, ঘৃণা বা ক্রোধ কিছুই অবশিষ্ট নেই আর
ঠিকঠাক খেয়ে, ঘুমিয়ে, বগল বাজিয়ে
বেঁচে আছি যে যার মতো—সর্বংসহা, অথর্ব!
কেবল শরীরটা মাঝেমধ্যে
মোচড় দিয়ে ওঠে—
ফুঁসে উঠতে চায় ভেতরের আগ্নেয়গিরি
ঘটাতে চায় অগ্ন্যুৎপাত তুমুল আক্রোশে!
সবকটি আগ্নেয়গিরি একসাথে জাগলেই,
আরেকটা নিশ্চিত যুদ্ধ—আবার একাত্তর!