বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ, বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম ও স্বাধীনতার ৪৯ বছর

ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী | বুধবার , ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ

বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও মুজিববর্ষে তাঁকে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করছি। বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবে এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের ৪৯তম বার্ষিকী উৎযাপন করবে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে তা অর্জনের আহবান জানান। স্বাধীনচেতা বাঙালি, ছাত্র জনতা দীর্ঘ নয় মাস একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত ও লক্ষ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন করে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের পূর্বে ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু কালজয়ী (ঈষধৎরড়হ ঈধষষ) ভাষণ প্রদান করে বাঙালিকে স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামের উদাত্ত আহবান জানান। আমাদের এ নিবন্ধে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির সংগ্রামের আহবান নিয়েও আলোচনার প্রয়াস থাকবে।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সফলতায় ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ ভেঙ্গে পাকিস্তান ও ভারত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। দীর্ঘ প্রায় দুইশত বছরের স্বাধীনতা সংগ্রাম শেষে ধর্মীয় দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতা আসে। কিন্তু পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বাঙালির প্রকৃত স্বাধীনতা আসেনি। বাঙালি শুধুমাত্র ব্রিটিশ অধীন থেকে পাকিস্তান অধীন হয়েছে মাত্র। কিন্তু মাতৃভাষার অধিকার আদায়ের প্রশ্নে বাঙালি স্পষ্টতই অনুধাবন করতে সক্ষম হয় যে, পাকিস্তান রাষ্ট্র কাঠামোয় বাঙালির কোন অধিকার আদায় হবে না। শোষণ চলে নানা ক্ষেত্রে। ১৯৫২ সালে ভাষাভিত্তিক সাংস্কৃতিক জাগরণের পথ বেয়ে বাঙালি এগিয়ে চলে স্বাধীনতা ও মুক্তির পথে। এ মুক্তি শুধু স্বাধীনতায় নয় বরং এ মুক্তি বহুমাত্রিক ও ব্যাপকতর, যেটি স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বাঙালি অর্জনের চেষ্টা করছে। মুক্তির প্রত্যয়ে অগ্রসর হওয়া কখনো সহজ ছিল না।
মুক্তির প্রতিষ্ঠা কখনো সহজ সরল পথে অর্জিত হয়নি। যিশু খ্রিস্টের জন্মের পূর্বেও মুক্তির কথা বলেছেন অনেকে। সক্রেটিস (৪৭০ খৃ.পূর্ব – ৩৯৯ খৃ.পূর্ব) মুক্তির কথা বলেছেন। তিনি সমাজের সকল বৈষম্য দূর করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কথা বলতে গিয়ে শাসকগোষ্ঠীর রোষাণলে পড়েন। সক্রেটিস চেয়েছিলেন যুবক সম্প্রদায়ের মধ্যে জ্ঞানের আলো প্রসারিত হোক। ফলে সমাজ থেকে সকল অন্ধকার দূরীভূত হবে। তাঁর এ প্রচেষ্টা তৎকালীন শাসকরা মেনে নিতে পারেনি। ফলে তাকে এক পর্যায়ে হেমলক বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়। বিজ্ঞানী গ্যালিলিও (১৫৬৪-১৬৪২) মুক্তির কথা বলেছেন। তাঁর বিজ্ঞান ও দর্শনের ডিসকোর্স তৎকালীন রক্ষণশীল সমাজ মেনে নিতে পারেনি। তিনি চেয়েছিলেন বিজ্ঞানের সত্য জ্ঞানের আলোয় সকল অন্ধকার দূর হোক। কিন্তু শাসকগোষ্ঠী তাঁর এ কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে গ্যালিলিওকেও মৃত্যুদণ্ড দিতে উদ্ধত হয়। তাঁর বিজ্ঞানের সূত্র পরবর্তীতে কোপার্নিকাস স্পষ্ট করতে পেরেছেন।
বাঙালির প্রাণের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মুক্তির কথা বলেছেন তাঁর লেখনিতে তিনি জ্ঞানের মুক্তি ও জাতীয় মুক্তির বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গানে গানে বলছেন- আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে/ আমার মুক্তি ধুলায় ধুলায় ঘাসে ঘাসে।/ দেহ মনের সুদূর পারে হারিয়ে ফেলি আপনারে,/ গানের সুরে আমার মুক্তি উর্ধ্বে ভাসে….। গীতিকবি মোহিনী চৌধুরী (১৯২০-১৯৮৭ খ্রি.) এ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের আকুতি মুক্তির কথা বলেছেন যেটি বাজতো মুক্তির গান হিসেবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে । তিনি লিখছেন- মুক্তির মন্দির সোপান তলে/ কত প্রাণ হলো বলিদান,/ লেখা আছে অশ্রু জলে।/ কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা,/ বন্দীশালার ওই শিকল ভাঙা/ তাঁরা কি ফিরিবে আজ সুপ্রভাতে/ যত তরুণ অরুণ গেছে অস্তাচলে…..। এ অঞ্চলে শিখা গোষ্ঠী বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন করে। তারা সমাজে জ্ঞানের প্রসারের মাধ্যমে মুক্তির আলোর বিচ্ছুরণ ঘটাতে চেয়েছিলেন। এ গোষ্ঠীর স্লোগান ছিল- জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব। জ্ঞান ও বুদ্ধিতে মুক্তি আজ থেকে শতবর্ষ আগে শিখা গোষ্ঠী অনুধাবন করে।
ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশবিরোধী প্রত্যক্ষ সংগ্রাম করেন মাস্টারদা সূর্য সেন, প্রীতিলতা ও ক্ষুদিরামসহ অনেকে। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটিয়ে এ অঞ্চলের মানুষকে স্বাধীনতা দান করা। শুধু সূর্য সেন কিংবা প্রীতিলতা নন, ভারতীয় উপমহাদেশে তিতুমীর, হাজী শরিয়তউল্লাহসহ ফকির সন্ন্যাসীরাও স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। কিন্তু ব্রিটিশ শাসকরা এ স্বাধীনতা ও মুক্তির কথা বলা মানুষগুলোকে শত্রু ও প্রতিপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। নানা অজুহাতে তাদের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে মানুষের মাঝে ভয়ভীতি ছড়িয়ে মুক্তির বাসনাকে তারা পদদলিত করতে চেয়েছে।
দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা যেন জাতীয় মুক্তির পথ উল্টো আবদ্ধ করে। সৃষ্টির পর ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময়ে পূর্ব বাংলার জনসাধারণের মধ্যে ভাষাভিত্তিক সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটে। এরপর থেকে পাকিস্তানের পূর্বাংশ তথা পূর্ব পাকিস্তানের উপর পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ, নিপীড়ন, বঞ্চনা ঐ ভাষাভিত্তিক সাংস্কৃতিক জাগরণকে আরো গতিশীল করে। এসময় চূড়ান্ত মুক্তির প্রত্যাশা জাগ্রত হয় বাঙালির হৃদয় মানসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে। আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে অসাম্প্রদায়িক আওয়ামী লীগের অভ্যূদয় ঘটে। বাঙালি জাতীয়তাবাদের এ গতিশীল রাজনৈতিক পরিক্রমার মধ্যেই বাঙালির সামনে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি ‘আমাদের বাঁচার দাবী’ শিরোনামে উত্থাপন করেন শেখ মুজিব। তিনি পাকিস্তানের বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে বাঙালির মুক্তির সনদ ‘ছয় দফা’ দিয়ে বললেন, ‘আমি তোমাদের স্বাধীকারের সাঁকো দিলাম যা বেয়ে তোমরা স্বাধীনতা অর্জন করবে।’
আলোচনার ধারাবাহিকতায় সুদূর প্রাচীন সময় থেকে দার্শনিক, সাহিত্যিক, কবি, বিজ্ঞানী প্রমুখের মুক্তির চিন্তায় নতুন দিগন্ত দেখি। বাঙালির মুক্তির মহামানব বাঙালির রাজনীতির কবি বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ভাষণ স্বাধীনতা ও মুক্তির এক অঝর কবিতা। এর পরের ইতিহাস বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা লাভের চূড়ান্ত পরিক্রমা।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ। বাঙালির জীবনে এলো এক বিভীষিকাময় রাত। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নির্দেশে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালির উপর ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে এক ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ শুরু করলো। এ হত্যাকাণ্ড থেকে রক্ষা পায়নি কেউ। বাঙালি মাত্রই আক্রমণের শিকার হয়। এ রাতেই বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু গ্রেফতারের পূর্বে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তিনি নিজে পালিয়ে যাননি কিন্তু সকল নেতাকর্মীকে আত্নগোপনে গিয়ে যুদ্ধকৌশল ও সকল প্রস্তুতির নির্দেশ প্রদান করেন। আরো নির্দেশনা দেন, তাঁর স্বাধীনতার ঘোষণা দেশের সকল স্থানে পৌঁছে দিতে। তারবার্তায় বঙ্গবন্ধুর এ স্বাধীনতার ঘোষণা দেশের সর্বত্র পাঠানো হয় এবং স্থানীয় নেতারা তা প্রচার করেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল একটি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে দীর্ঘ সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্ব। এ মুক্তির কথা পশ্চিম পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী মেনে নিতে পারেনি। তারা বাঙালিকে অস্ত্রের ভয়ে নিস্তব্ধ করে দিতে চেয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালি এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করে। হাজার বছরের বাঙালির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাঙালি পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার স্বাদ পায়। আর বাঙালিকে এ মু্‌ক্িতর বন্দরে পৌঁছে দেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ স্বাধীনতা অর্জনে বাঙালির সামগ্রিক মুক্তির দ্বার উন্মোচন হয়।
মানব সভ্যতায় ও সাংবিধানিক অধিকারগুলোকে পূর্ণতা প্রদানে ঘটে যাওয়া বিল্পব ও স্বাধীনতার ইতহাস অন্তর্ভুক্ত হতে দেখি।
আমেরিকার সংবিধানে খরভব, খরনবৎঃু ধহফ ঃযব চঁৎংঁরঃ ড়ভ ঐধঢ়ঢ়রহবংং এর কথা বলা হয়েছে। ফরাসি বিপ্লবে খরনবৎঃু, ঊয়ঁধষরঃু ধহফ ঋৎধঃবৎহরঃু এর কথা উল্লেথ করা হয়েছে যা তৃতীয় রিপাবলিক গ্রহণ করেছে। ত্রয়োদশ শতকের ১ম অধ্যায়ে ইংল্যান্ড গধমহধ ঈধৎঃধ মহা সনদ এর ঘোষণায় ঈযধৎঃবৎ ড়ভ জরমযঃং ধহফ ঈরারষ জরমযঃং এর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের সকল সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু অল্পসময়ের মধ্যে বাঙালির জন্য ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর পরই বিশ্বমানের একটি সংবিধান প্রণয়ন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত সংবিধানে মানবমুক্তির স্পষ্ট প্রতিফলন দেখা যায়। মুজিবনগর সরকার ১৭ এপ্রিল ঘোষণায় বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার পবিত্র কর্তব্য বিবেচনা করে বাংলাদেশকে সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে এবং এতদ্বারা পূর্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘স্বাধীনতার ঘোষণা’ অনুমোদন করা হয়। ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে শাসনতন্ত্র মহান সংবিধান রচনায় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে গ্রহণ করা হয়। মূলত এতে বাঙালির মুক্তি ও মানবমুক্তির জয়গান গাওয়া হয়েছে।
স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে আমরা কতটুকু মুক্তি অর্জন করতে পেরেছি তা আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। কারো কাছে স্বাধীনতায় মুক্তি, কারো কাছে গণতন্ত্রে বা সমাজতন্ত্রে, কারো কাছে জ্ঞান ও বুদ্ধিতে, কারো কাছে প্রাচুর্যে, কারো কাছে ধর্মান্ধতার বিপরীতে অসাম্প্রদায়িকতায়। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন আপামর মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে। বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসুরীর হাতেই সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। সর্বোপরি মুক্তি হতে পারে মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করায়। অতএব স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর সামনে এসে মানবিক ও সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রবল প্রত্যয় দেখতে চাই মুজিব শতবর্ষে।

লেখক: সাবেক ডিন, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও অধ্যাপক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, চবি

পূর্ববর্তী নিবন্ধমহান বিজয়ের মাস, আওয়ামী লীগের সোনালী অতীত এবং দেশপ্রেম বিবর্জিত আমলাতন্ত্র
পরবর্তী নিবন্ধবৈজ্ঞানিক মানসচিন্তা ও বঙ্গবন্ধু