বাঁশখালী থেকে ছিনতাই ট্রাকের হেলপারের মরদেহ সাতকানিয়ায় উদ্ধার

সাতকানিয়া প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১৩ মে, ২০২২ at ১২:৩৪ পূর্বাহ্ণ

সাতকানিয়ায় একটি ব্রিজের নিচ থেকে স্কচটেপ দিয়ে চোখ বাঁধা অবস্থায় এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম মো. বেলাল উদ্দিন (১৫)।

গতকাল বৃহস্পতিবার(১২ মে) বিকালে কেরানীহাট-গুনাগরি সড়কের সাতকানিয়াস্থ থ্রি-স্টার কমিউনিটি সেন্টারের পশ্চিম পাশে হাদুর ব্রিজের নিচ থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, বেলাল গত বুধবার রাতে বাঁশখালী থেকে ছিনতাই হওয়া একটি মিনি ট্রাকের হেলপার ও কালিপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পূর্ব জঙ্গল কোকদণ্ডী এলাকার নুরুল আমিনের পুত্র।

কিশোর মো. বেলালের ফুফাতো ভাই আবদুল মান্নান জানান, বেলাল একই এলাকার রফিকুল ইসলামের পুত্র ড্রাইভার আবদুল লতিফের মিনি ট্রাকে হেলপারের চাকরি করত। গত বুধবার রাতে চালক আবদুল লতিফ মিনি ট্রাকটি গুনাগরি আশ্রয়ণ প্রকল্পের পার্শ্ববর্তী একটি মাঠে রেখে চলে যান। কিশোর হেলপার মো. বেলাল রাতে অন্যান্য দিনের মতো ওই গাড়িতে ঘুমায়। গতকাল সকালে চালক আবদুল লতিফ আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় এসে দেখে গাড়ি ও হেলপার বেলাল নাই। এসময় বেলালের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। তখন গাড়ির মালিক, চালক ও বেলালের স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরও গাড়ি এবং হেলপারের কোনো সন্ধান না পেয়ে বাঁশখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন।

এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটার দিকে কেরানীহাট-গুনাগরি সড়কের সাতকানিয়া অংশের থ্রি-স্টার কমিউনিটি সেন্টারের পশ্চিম পাশে হাদুর ব্রিজের নিচে লোকজন এক কিশোরের মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয়।

পুরে পুলিশ ও সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা যৌথভাবে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ছিনতাই হওয়া ট্রাকের চালক ও হেলপারের স্বজনরা এসে মরদেহটি বেলালের বলে শনাক্ত করেন।

ছিনতাই হওয়া ট্রাকের চালক আবদুল লতিফ বলেন, “বুধবার রাতেও প্রতিদিনের মতো একই স্থানে গাড়ি রেখে আমি বাড়িতে চলে যাই। আর অন্যান্য দিনের মতো হেলপার বেলাল গাড়িতে ঘুমায় কিন্তু সকালে এসে দেখি গাড়ি এবং বেলাল নাই। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরও সন্ধান না পেয়ে বাঁশখালী থানায় জিডি করি। বিকালে সাতকানিয়ায় মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি এটি বেলালের মরদেহ। মূলত ছিনতাইকারীরা বেলালকে হত্যা করে ট্রাকটি ছিনিয়ে নিয়েছে।”

সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কুমার দে বলেন, “ব্রিজের নিচ থেকে আমরা বাঁশখালীর কিশোর মো. বেলালের মরদেহ উদ্ধার করি। তার গলায় গামছা পেঁচানো এবং চোখ দুইটি স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল। শরীরের অন্য কোথাও উল্লেখযোগ্য কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরে জানতে পারলাম কিশোর বেলাল বাঁশখালী থেকে ছিনতাই হওয়ায় একটি ট্রাকের হেলপার। আমরা বেলালের মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ(চমেক) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি।”

এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঝাউতলা রিকশা গ্যারেজে অভিযান, বহু ব্যাটারি ও বৈদ্যুতিক তার জব্দ
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা