অনলাইনে রেলের টিকেট বিক্রি বন্ধ ৫ দিন, যাত্রীদের ভোগান্তি

আজাদী অনলাইন | শুক্রবার , ২৫ মার্চ, ২০২২ at ৯:৪০ অপরাহ্ণ

গত পাঁচ দিন ধরে অনলাইনে ট্রেনের টিকেট বিক্রি বন্ধ থাকায় কাউন্টারে টিকেট কিনতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত টিকেট।

চট্টগ্রাম ছাড়াও রাজশাহী, ঢাকা এবং বাইরের শহরগুলোতে ট্রেনের টিকেটের জন্য ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।

তারা জানান, অনলাইনে ও কম্পিউটারের মাধ্যমে গত পাঁচ দিন ধরে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেট বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে ট্রেনের টিকেট কাটার জন্য স্টেশনের কাউন্টারগুলোই একমাত্র ভরসা কিন্তু তারা কাউন্টারে টিকেট পাচ্ছেন না।

দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান তারা।

ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও টিকেট পাননি ঢাকাগামী ট্রেনযাত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, “দুই দিন ছুটি পেয়েছিলাম। তাই বাড়ি যেতে ট্রেনের টিকেট কাটতে এসেছি কিন্তু ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও টিকেট পাইনি। এরকম একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রেলওয়ের পূর্ব-পরিকল্পনা নেওয়া উচিত ছিল কিন্তু তারা নেয়নি। যে কারণে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তির সীমা নেই। আগাম প্রস্তুতি না নিয়ে এভাবে অনলাইনে টিকেট বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হয়নি।”

আজ শুক্রবার (২৫ মার্চ) সকাল থেকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের টিকেট প্রত্যাশী যাত্রীদের লম্বা লাইন দেখা গেছে। সকাল ৮টায় টিকেট বিক্রি কার্যক্রম শুরু হলেও মানুষ অপেক্ষা করে ভোর থেকেই।

টিকেট কাটতে আসা অনেক যাত্রী টিকেট কালোবাজারি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বলেছেন, লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকেট পাচ্ছি না কিন্তু বাইরে ও কাউন্টারের ভেতর থেকেই টিকেট নিয়ে যাচ্ছেন রেলের লোকজন।

অন্যদিকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, আমরা একটি নতুন কার্যক্রমে যাত্রা করেছি। যাত্রীদের একটু তো কষ্ট হবেই। ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আমরা সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে টিকেট বিক্রি করছি৷ যাত্রীদের সুন্দর সেবা প্রদান করাই আমাদের লক্ষ্য।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জাফর আলম বলেন, “যাত্রীদের সুবিধার্থেই আমাদের এ কার্যক্রম। সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশেই টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে। টিকেট কালোবাজারির কোনো সুযোগ নেই। সার্ভিস প্রোভাইডার বদলের কারণে যাত্রীদের টিকেট পেতে কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। আগামী ২৬ তারিখ থেকে ভোগান্তি কেটে যাবে।”

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী বলেন, “লম্বা লাইনের সৃষ্টি হয়েছে। এটা কোনো বিষয়ই না। একটু কষ্ট তো হবেই। ট্রেনের টিকেট কিনতে হলে কষ্ট তো হবেই।”

প্রসঙ্গত, সার্ভিস প্রোভাইডার বদলের কারণে নতুন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব গ্রহণের সুবিধার্থে গত ২১ থেকে ২৫ মার্চ অনলাইনে টিকেট বিক্রি বন্ধ আছে। ফলে শতভাগ টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে স্টেশনের কাউন্টার থেকে।

আগামীকাল ২৬ মার্চ থেকে ট্রেনের টিকেট ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করবে সহজ লিমিটেড। তবে তারা ওইদিন থেকে রেল সেবা অ্যাপে টিকেট দেবে না, শুধু ওয়েবসাইটে দেবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফটিকছড়িতে পরিবারের সবাইকে হাত-পা বেঁধে ডাকাতি
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা