‘আনলিমিটেড’ কিন্তু উচ্চমূল্যের ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু করছে চার অপারেটর

| বৃহস্পতিবার , ২৮ এপ্রিল, ২০২২ at ৭:২৭ অপরাহ্ণ

অবশেষে উচ্চমূল্যের ডাটার মেয়াদ বাড়িয়ে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু করছে দেশের চার মোবাইল ফোন অপারেটর-গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটক।

এই চারটি অপারেটরে এই ‘আনলিমিটেড ডাটা প্যাক’ পাওয়া যাবে।

‘আনলিমিটেড’ বলা হলেও কারিগরি সীমাবদ্ধতার কারণে এসব প্যাকেজের মেয়াদ এক বছর হবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ বৃহস্পতিবার(২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে এসব প্যাকেজের উদ্বোধন করেন।

নাসিম পারভেজ জানান, আনলিমিটেড ডাটা প্যাকেজের আওতায় গ্রামীণফোনে ১ হাজার ৯৯ টাকায় ১৫ জিবি এবং ৪৪৯ টাকায় ৫ জিবির প্যাকেজ কিনতে পারবেন গ্রাহকরা।

এছাড়া রবিতে ৩১৯ টাকায় ১০ জিবি, বাংলালিংকে ৩০৬ টাকায় ৫ জিবি এবং টেলিটকে ৩০৯ টাকায় ২৬ জিবি ও ১২৭ টাকায় ৬ জিবি ইন্টারনেট পাওয়া যাবে।

আর নিরবচ্ছিন্ন মাসিক ইন্টারনেট প্যাকেজের আওতায় গ্রামীণফোনের ৩৯৯ টাকার (দৈনিক ১ জিবি পর্যন্ত) ও ৬৪৯ টাকার (দৈনিক ২ জিবি পর্যন্ত) দু’টি প্যাকেজ রয়েছে। এছাড়া ৩৬৫ দিনেরও (প্রতিদিন ১ জিবি পর্যন্ত) একটি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে।

রবি’র ৩০ দিন (দৈনিক সর্বোচ্চ ২ জিবি), বাংলালিংকের ৩০ দিনের (দৈনিক সর্বোচ্চ ২ জিবি) প্যাকেজ রয়েছে। টেলিটকের ৩০ দিনের চারটি প্যাকেজে দৈনিক যথাক্রমে ১, ২, ৩ ও ৫ জিবি পর্যন্ত ডেটা ব্যবহারের সুযোগ থাকছে।

বিটিআরসি মহাপরিচালক বলেন, “প্যাকেজগুলো মেয়াদহীন ডাটা বা নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ হওয়ায় অব্যবহৃত ডাটা রেখে দেওয়ার সুযোগ নাই। সেই কারণে এ সকল প্যাকেজে ডাটা ক্যারিফরওয়ার্ড প্রযোজ্য হবে না।”

তিনি বলেন, “১৫ মার্চ এই রুমে বসেই ডাটার মেয়াদ তুলে দেয়ার কথা আমি বলেছিলাম। প্রচলিত ধারণাটা ভেঙে ফেলার দুঃসাহসিক অনুরোধ করেছিলাম। টেলিটক দুই দিনের মধ্যে সেই পদক্ষেপ নিয়েছিল।”

মন্ত্রী বলেন, “অন্যান্য অপারেটরও কাজটি করেছে। তাতে গ্রাহকরা সাশ্রয়ী মূল্যে বেশি দিন ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।”

বাংলাদেশ এখন প্রযুক্তি ব্যবহারে এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে ‘ফাইভ জি’ ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরতে অপারেটরদের প্রতি আহ্বান জানান জব্বার।

তিনি বলেন, “জনগণকে বোঝাতে হবে, আমরা কেন ফাইভ-জি ব্যবহার করব। ফাইভ-জি দৈনন্দিন জীবনের অংশ না হলে আমরা যে জায়গায় পৌঁছাতে চাচ্ছি, সেটা সম্ভব হবে না। আমরা সেবা সম্প্রসারণ নয়, এর গুণগত মান নিশ্চিত করতে চাই।”

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার, ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বক্তব্য দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবান্দরবানে বেপরোয়া গতির টমটম কেড়ে নিল শিশুর প্রাণ
পরবর্তী নিবন্ধএক ক্লিকেই মিনিমাইজ হবে সব উইন্ডো