বান্দরবানে মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে

বান্দরবান প্রতিনিধি | রবিবার , ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৮:০৯ অপরাহ্ণ

বান্দরবান সীমান্তে মিয়ানমারের গোলাগুলি বর্ষণে উত্তেজনা বাড়ছে সীমান্তঞ্চলে। নাইক্ষ্যংছড়ির গোটা ঘুমধুম ইউনিয়ন জুড়েই থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

সীমান্তবাসীদের চলাচলে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি)। আজ রবিবারও (১৮ সেপ্টেম্বর) ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মর্টারশেল নিক্ষেপের শব্দে কেপে উঠেছে ঘুমধুম সীমান্তঞ্চল।

স্থানীয়রা জানায়, মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মি (এএ) সশস্ত্র বাহিনীর সাথে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে কয়েক মাস ধরেই গোলাগুলি এবং মর্টারশেল নিক্ষেপের ঘটনাগুলো চলছে।

আরাকান আর্মির আস্তানা ধংসে মিয়ানমার সরকার বাহিনী যুদ্ধ বিমান এবং ফাইটিং হেলিকপ্টার থেকেও হামলা চালাচ্ছে।

সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ফাইটিং হেলিকপ্টার থেকে গোলা নিক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ঘুমধুম সীমান্তে বসবাসকারী বাংলাদেশীরাও।

মিয়ানমারে চলমান সংঘাত এবং সীমান্তে উত্তেজনায় সীমান্তঞ্চলে বসবাসকারী অনেক বাংলাদেশী বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে স্বজনদের বাসাবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস বলেন, “সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি বর্ষণের ঘটনা চললেও সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সীমান্তে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের আতঙ্কিত না হতে মাইকিং করা হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আনসার সদস্যরা স্থানীয়দের আশ্বস্ত করছেন আতঙ্কিত না হতে।”

ইউএনও আরও বলেন, “ঘুমধুম সীমান্তে মর্টারশেল পড়ে বিস্ফোরিত হয়ে রোহিঙ্গার মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্কে অনেকে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল ঠিকই কিন্তু পরবর্তীতে তারা পুনরায় নিজের বাসাবাড়িতে ফিরেছে।”

এদিকে, নোম্যান্স ল্যান্ড শূন্যরেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের তাড়াতেই মর্টারশেল হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন রোহিঙ্গা দলনেতা দিল মোহাম্মদ।

তিনি বলেন, “শূন্যরেখায় আশ্রয় শিবিরে প্রায় সাড়ে চার হাজার রোহিঙ্গা বসবাস করে। ভয়ে আতঙ্কে শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের অনেকেই কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চলে গেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা পুনরায় ফিরবে। মিয়ানমার বাহিনী শূন্যরেখার ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করতেই মূলত ভিন্ন কৌশলে হামলাগুলো চালাচ্ছে।”

তবে শূন্যরেখার রোহিঙ্গারা নানা কৌশলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়ার বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ“খালেদা জিয়াকে নয়, দেশের গণতন্ত্রকে বন্দি করে রাখা হয়েছে”
পরবর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু