“খালেদা জিয়াকে নয়, দেশের গণতন্ত্রকে বন্দি করে রাখা হয়েছে”

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম

আজাদী অনলাইন | রবিবার , ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৬:২৭ অপরাহ্ণ

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, “আজকে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আসলে বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়নি, দেশের গণতন্ত্রকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।”

সারাদেশে বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিবর্ষণ ও আওয়ামী সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে আজ রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয় মাঠে উত্তর জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শ্যামা ওবায়েদ, তাবিথ আউয়ালসহ জাতীয় নেতা ও কর্মীদের ওপর গতকাল হামলা হয়েছে। এভাবেই হামলা মামলা করে জনগণের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।”

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ফরম নেওয়ার সময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, “চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের মতো যেভাবে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে তিনি সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করেছেন। যদি রাজনীতি করতে চান, তাহলে প্রজাতন্ত্রের চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে আসুন। সরকারের লুটপাট, দুর্নীতি, গুম, খুন, নির্যাতনে সারাদেশের মানুষ অতিষ্ঠ। এই সরকারের বিরুদ্ধে সারাদেশের জনগণ রাজপথে নেমে এসেছে, সেখানে একজন ডিসির এ ধরনের বক্তব্য কোনোভাবেই কাম্য নয়। শুধু ডিসি নয়, সরকারি আমলারাও রাজনৈতিক ভাষায় কথা বলছেন।”

তিনি আরও বলেন, “যেসব আমলা ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী আওয়ামী লীগের নেতাদের ভাষায় রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন, আওয়ামী লীগ সরকারে দোসর হয়েছেন, তাদের তালিকা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণের কাছে আগামী দিনে তাদের জবাবদিহি করতে হবে। অতীতের নির্বাচন কমিশনদের মতো এই নির্বাচন কমিশনও এ অবৈধ সরকারের আজ্ঞাবহ। যার কারণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রূপরেখা অনুযায়ী নির্বাচনী রোডম্যাপ ও ইভিএমে নির্বাচন করার ঘোষণা করেছে। আমাদের স্পষ্ট কথা হচ্ছে, এই আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।”

অবিলম্বে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আসলাম চৌধুরীর মুক্তির দাবি জানান তিনি।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ইউনুছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মো. সালাহউদ্দীনের পরিচালনায় সভায আরও বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, ছালাউদ্দীন, নুরুল আমিন, নুর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, সরোয়ার আলমগীর, জসিম উদ্দীন সিকদার, আযম খান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক ফজল বারেক, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এস এ মুরাদ চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার উদ্দীন সেলিম, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম বদরুল, মহিলা দলের সভানেত্রী নার্গিস আক্তার, ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদুল আফছার জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনি, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ উল্লাহ, মৎস্যজীবী দলের সভাপতি সফিউর রহমান চৌধুরী ও ওলামাদলের সভাপতি মাওলানা জমির উদ্দীন প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ“মিয়ানমারের গোলা আমাদের এখানে যেন না পড়ে”
পরবর্তী নিবন্ধবান্দরবানে মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে