বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটি (বাগীশিক) প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক পলাশ কান্তি নাথ রণী বলেন, পূজা হলো পূর্ণের জাগরণ। দৈবশক্তিকে জাগিয়ে আত্মার উদ্বোধনই পূজার অঙ্গীকার। নিজের অহমিকা বিসর্জন দেয়া হলো শ্যামাপূজার মূলশিক্ষা। গত রবিবার নগরীর দেওয়ানবাজারস্থ চক্রবর্তী ভবন চত্বরে ৩০নং কোরবানীগঞ্জ সর্বজনীন শ্যামাপূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত ধর্মসম্মেলন ও ভক্তিসঙ্গীতাঞ্জলি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। কর্মসূচির মধ্যে ছিল– মায়ের আবাহন, অধিবাস, গীতাপাঠ ও চণ্ডীপাঠ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণ ও প্রসাদ আস্বাদন। পরিষদের সভাপতি ইমু বণিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক চন্দন বণিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সংগঠক মোঃ আবুল হাসেম চৌধুরী। এতে আরও বক্তব্য রাখেন পরিষদের সিনিয়র সহ–সভাপতি রক্তিম বণিক, সহ–সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত বণিক ও অর্থ সম্পাদক জয় বণিক। শুরুতে গীতাপাঠ করেন সংগীতশিল্পী প্রকাশ রায় হিমেল, অভিজিৎ দাশ ব্রহ্মচারী ও সাংস্কৃতিক পর্বে মাতৃসংগীত পরিবেশন করেন টিভি ও বেতার শিল্পী নূরে ইফতে খাইরুন নেছা মাহিয়া। যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন নহেল বাবু (কীবোর্ড), বিকান নন্দী নিউটন (বাঁশি), রিংকু চক্রবর্তী (মৃদঙ্গ) ও তানসেন দাস (অক্টোপ্যাড)।
পূজায় মাতৃরূপায়ন করেন রতন কৃষ্ণ পাল ও ঢাক–আরতি করেন রতন চক্রবর্তী ও ইমন দাস সাদ্দাম। সমগ্র পূজায় মাতৃভাবনাকে ‘তিলোত্তমা’ আবহে সজ্জিত করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।