প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শিশুদের হাসি–খুশি মুখই নতুন বাংলাদেশের আশার প্রতীক। তাদের স্বপ্ন ও সৃজনশীলতা দিয়েই গড়ে উঠবে আগামী দিনের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। তিনি বলেন, আমাদের অঙ্গীকার হোক প্রতিটি শিশুর জন্য নিরাপদ শৈশব, মানসম্মত শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক বিকাশের পূর্ণ সুযোগ নিশ্চিত করা। খবর বাসসের।
আজ ৬ অক্টোবর ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ–২০২৫’ উপলক্ষ্যে গতকাল দেয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে ‘বিশ্ব শিশু দিবস–২০২৫’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশের শিশুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। তিনি বলেন, শিশুদের সৎ, মমতাময় ও মুক্তচিন্তার পরিবেশে বড় হতে দিলে তারা আগামী দিনে হবে যোগ্য নাগরিক–যারা বিজ্ঞান, শিল্প–সাহিত্য, প্রযুক্তি, ক্রীড়া ও নেতৃত্বে বাংলাদেশকে বিশ্বে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।
তবে আজও দারিদ্র্য, শিশুশ্রম, সহিংসতা ও বৈষম্যের মতো চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজন সম্মিলিত প্রয়াস। আর এ প্রয়াসের মাধ্যমেই পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সমন্বিত উদ্যোগেই কেবল শিশুদের অধিকার রক্ষা ও সুরক্ষিত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সম্ভব। তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ‘বিশ্ব শিশু দিবস–২০২৫’ আমাদের নতুন প্রতিজ্ঞায় উজ্জীবিত করবে, যাতে প্রতিটি শিশু নিরাপদ ও সৃজনশীল পরিবেশে বেড়ে ওঠে। শিশুদের জন্য একটি আলোকিত আগামী গড়াই হবে নতুন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন। প্রধান উপদেষ্টা ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২৫’–এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।