দুই পৌরসভায় ২৫ বছরেও গড়ে উঠেনি ডাম্পিং স্টেশন

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে ময়লার স্তূপ, দুর্ভোগ

মাহবুব পলাশ, মীরসরাই | শনিবার , ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৫:০৩ পূর্বাহ্ণ

পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে নানা দিক থেকে। কিন্তু আমরা কি প্রকৃতপক্ষে এগিয়ে যাচ্ছি? এমন প্রশ্ন এজন্যই আসে যেএখনো মীরসরাইয়ের বারইয়াহাট পৌরসভা এলাকায় ময়লা আবর্জনার স্তূপের পাশে বসেই সাধারণ মানুষের চা খাওয়ার দৃশ্য দেখতে হয়। পৌরসভা এলাকার কোনো কোনো স্থান এতোটাই অস্বাস্থ্যকর যে; সুস্থ মানুষও যেন অসুস্থ হবার উপক্রম। সম্প্রতি বারইয়াহাট পৌরসভার ময়লা আবর্জনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সমালোচনা হয়। এতে পৌর প্রশাসন তা (আর্বজনার স্তূপ) অপসারণের উদ্যোগ নেয়। তবে এর দু’সপ্তাহের মধ্যেই সেই পুরোনো চিত্র পরিলক্ষিত। আবার মহাসড়কের পাশেই দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে ময়লার ভাগাড়।

অথচ, ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়ককে বলা হয় দেশের লাইফলাইন। কিন্তু বারইয়াহাট পৌর এলাকায় এই মহাসড়কের দু’পাশেই এখন কয়েকটি ময়লা ফেলার ভাগাড়। মহাসড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া শিক্ষার্থী, অসুস্থ ও সুস্থ মানুষ থেকে শুরু করে যানবাহনে করে যাওয়া সকলেই নীরবে এই দুর্ভোগ সহ্য করতে হচ্ছে। কিছুদিন পর পর লেখালেখি হলে প্রশাসন তৎপরতা দেখায়। তবে কয়েকদিন পর সেই পুরনো চিত্র ফিরে আসে।

মীরসরাই উপজেলার দুটি পৌরসভা মিলেও নেই কোনো ময়লার ডাম্পিং স্টেশন। কখনো কখনো মহাসড়কের পাশের এই সব ময়লার স্তূপে আগুন দেওয়ার ফলে সৃষ্ট ধোঁয়ায়ও দুর্ঘটনা ঘটার অভিযোগ রয়েছে। বারইয়াহাট এলাকার দোকানি রফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক সময় প্রয়োজনীয় কাজে বাজার থেকে থানার দিকে যেতে হয়। কিন্তু মহাসড়কের পাশের ময়লা আবর্জনা ও দুর্গন্ধে সেখান দিয়ে নাক চেপে পার হতে হয়। স্কুলকলেজের ছেলেমেয়েদেরও ময়লার পাশ দিয়ে নাক চেপে হেঁটে পারাপার করতে হচ্ছে।

জানা গেছে, ২০০০ সালের ২৭ এপ্রিল প্রতিষ্ঠা হয় উত্তর চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক এলাকা খ্যাত বারইয়ারহাট পৌরসভা। ২ দশমিক ১২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের প্রথম শ্রেণির বারইয়ারহাট পৌরসভায় মোট জনসংখ্যা ১১ হাজার ৬০২ জন। পরিবার রয়েছে ২ হাজার ৩৯৯টি। এছাড়া রয়েছে ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ১৫টি ছোটবড় কলকারখানা। ব্যাংক, বীমা, হাসপাতাল, হোটেলরেস্তোরাঁসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ পৌরসভাটিতে কোনো ময়লার ডাম্পিং স্টেশন নেই। এ বিষয়ে বারইয়াহাট পৌরসভার মেয়র ও মীরসরাইয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোমাইয়া আক্তার বলেন, সম্প্রতি বারইহাট পৌর এলাকায় ময়লা আবর্জনাময় কিছু পরিবেশের অভিযোগ পেয়েই আমরা পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করি। আমার জানা মতে, এখন পূর্বের মতো ময়লা আর নেই। তবুও লোকজন যদি কোনো এলাকায় আবারও ময়লা আবর্জনা সৃষ্টি করে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, বারইয়ারহাট ও মীরসরাই পৌরসভার মাঝামাঝি স্থানে একটি ময়লার ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। জমি যাচাইবাছাইয়ের কাজ চলমান। উপযুক্ত জমি পেলে শিগগির ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশরতে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে খাগড়াছড়ির ঝরনা
পরবর্তী নিবন্ধ৩৫ ঘণ্টা পর খাল থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার