বগুড়ার ধুনটে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। তবে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন। গতকাল শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় হিরো আলমকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তার বন্ধু নাট্যকার জাহিদ হাসান সাগর। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের চিকিৎসক মনিরুজ্জামান বলেন, ঘুমের ওষুধ সেবন করায় হিরো আলম অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খবর পেয়ে বিকালে হিরো আলমকে দেখতে ঢাকা থেকে ছুটে আসেন রিয়া মনি ও মিথিলা। এ সময় তারা হিরো আলমের শয্যার পাশে কান্নায় ভেঙে পড়েন। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, হিরো আলমকে দেখতে ছুটে আসেন রিয়া মনি এবং মিথিলা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য হিরো আলমকে ঢাকায় নিয়ে যান তারা। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে হিরো আলম ধুনট উপজেলার যমুনা নদীর তীরে ভান্ডারবাড়ি গ্রামে বন্ধু জাহিদের বাড়িতে বেড়াতে যান। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে হিরো আলমকে ঘুম থেকে ডেকে ওঠাতে না পেরে তার বন্ধু উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। এ সময় হিরো আলমের বালিশের পাশে ঘুমের ওষুধ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপরই তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর বিডিনিউজের।
জাহিদ হাসান সাগর বলেন, হিরো আলম আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু। রাতে রিয়া মনিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘক্ষণ দুই বন্ধুর মধ্যে আলাপ হয়। রিয়া মনিকে নিয়ে হতাশার কথা বলেন তিনি। তিনি জানান, যেখানে যান সেখানে লোকজন তাকে বিরক্ত করেন, নানা প্রশ্ন করেন। একটু নিরিবিলি সময় কাটাতে তিনি এখানে এসেছিলেন। আমার ধারণা, রিয়া মনিকে না পাওয়ার হতাশা থেকেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হিরো আলমকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত।
রিয়া মনি হিরো আলমের তৃতীয় স্ত্রী। সমপ্রতি তাকে তালাকের ঘোষণা দিয়েছেন হিরো আলম। এছাড়া হত্যা চেষ্টার অভিযোগে রিয়া মণির বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন তিনি। এদিকে এ ঘটনার পর শুক্রবার বিকালে রিয়া মনি ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের ও হিরো আলমের তিনটি ছবি পোস্ট করেছেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, হিরো আলমকে নিয়ে তিনি গাড়িতে করে যাচ্ছেন। সঙ্গে লিখেছেন, ‘সম্পর্ক গড়ে তুলতে যেমন সময় লাগে/ সম্পর্ক ভেঙে দিতেও তেমন সময় লাগে/ সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুজনের মতে/ আর ভেঙে যায় তৃতীয় পক্ষের কারণে।’