নগরীর পাঁচলাইশের খতিবের হাট এলাকায় দুই শিশু ও তাদের মাকে কুপিয়ে খুনের মামলার আসামি গৃহশিক্ষক তারেক চৌধুরী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি এ মুক্তি পান। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. ইকবাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। নগরজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করা এ ট্রিপল মার্ডার মামলাটি চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণও সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারা অনুযায়ী আসামিকে পরীক্ষা করার জন্য রয়েছে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. সাঈদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, আসামি তারেক চৌধুরী গত কোরবানির ঈদের আগে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পায়। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে উক্ত জামিন স্থগিত হয়। পরে আসামি পক্ষ ফের উচ্চ আদালতে গেলে স্থগিত আদেশটি খারিজ হয়। এতে করে জামিন আদেশটি বহাল হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তারেক চৌধুরী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন খতিবের হাট এলাকার মা মনি ভিলা নামের একটি ভবনে গৃহবধূ ডলি আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ডলি আক্তারের ৯ বছর বয়সী শিশু আলভী ও ৫ বছরের শিশু আদিবা পায়েলকেও হত্যা করে খুনি। আলভী বহদ্দারহাট সাইমন লাইট গ্রামার স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র এবং আদিবা একই স্কুলের নার্সারি শাখার শিক্ষার্থী ছিল। ঘটনার দুইদিন পর গৃহশিক্ষক ও কুলগাঁও সিটি করপোরেশন কলেজের তৎকালিন শিক্ষার্থী তারেক চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতে তোলা হলে সেখানে তারেক চৌধুরী দুই শিশু ও তাদের মাকে খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ২০১৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তারেক চৌধুরীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। চার্জশিটে বলা হয়, টিউশনিতে বেতন কম দেওয়ার ক্ষোভ ও মোবাইল ফোনের লোভে গৃহশিক্ষক তারেক চৌধুরী এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। আদালতসূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ৩ অক্টোবর আদালত তারেক চৌধুরীর বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।