দিনভর বৃষ্টিতে দুর্ভোগ

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২০ জুন, ২০২৫ at ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ

দিনভর থেমে থেমে ভারী ও মাঝারী বৃষ্টিতে গতকাল (বুধবার) নগরবাসী দুর্ভোগে পড়ে। বিশেষ করে সকালে কর্মস্থল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানমুখী লোকজনের দুর্ভোগ ছিল বেশি। গ্যাস সংকটের কারণে গণপরিবহন এবং সিএনজি টেক্সি চলাচল কম থাকায় মানুষের দুর্ভোগ আরো বাড়ে। নগরীর বেশকিছু এলাকায় জলজটও হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে নগরীতে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া গতকাল ভোরে একটানা বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সন্ধ্যার দিকেও বৃষ্টি হয়। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস গতকাল ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে। একই সময়ে আমবাগান আবহাওয়া অফিস রেকর্ড করে ৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। এছাড়া গত রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়া অফিস ৭৭ মিলিমিটার এবং আমবাগান আবহাওয়া অফিস ১০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে।

বৃষ্টিতে সকালে নগরীর জিইসি মোড়, শুলকবহর, কাতালগঞ্জ, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, কাপাসগোলা ও হালিশহর, ইপিজেডসহ কিছু কিছু এলাকায় জলজটের সৃষ্টি হয়। এসব এলাকায় গোড়ালি থেকে হাঁটু সমান পানি জমে। অবশ্য আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে পানি নেমে যায়। বৃষ্টিতে সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ। বৃষ্টি এবং জলজটের কারণে ভোগান্তি বাড়ে। স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

আজও বৃষ্টি হতে পারে : পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. ইসমাইল ভূঁইয়া জানিয়েছেন, অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ও কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী অথবা অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও পাহাড় ধসের আশংকা রয়েছে ও নগরীতে অস্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতে পারে।

৩ নম্বর সর্তক সংকেত : গতকাল দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বজ্রমেঘ তৈরি হচ্ছে এবং বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিসহ দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এ সতর্কবাতায় চট্টগ্রাম, কঙবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এতে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। অবশ্য, সাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরার নৌযান চলাচল অনেকটা বন্ধ রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআনোয়ারায় তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টা
পরবর্তী নিবন্ধমহেশখালীতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক