তথ্য গোপন করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে ২ বছরের কারাদণ্ড

| বৃহস্পতিবার , ১৯ জুন, ২০২৫ at ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ

যদি কোনো ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও তথ্য গোপন করে বিভ্রান্তিকর কাগজপত্র দিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য বা আহত জুলাই যোদ্ধা দাবি ও সুবিধা গ্রহণ করেন তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। নতুন জারি করা অধ্যাদেশে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্যে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জারি করেছে সরকার। খবর বাসসের। এই অধ্যাদেশের দ্বিতীয় অধ্যায়ে অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, কার্যাবলী, কর্মচারী, ইত্যাদি বিষয় রয়েছে। ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠায় বিস্তারিত এখানে উল্লেখ রয়েছে। চতুর্থ অধ্যায়ে অপরাধ ও বিচার বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। এখানে বলা হয়, কোনও ব্যক্তি ‘শহীদ’ পরিবারের সদস্য বা যেকোনও শ্রেণির আহত না হওয়া সত্ত্বেও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বা জ্ঞাতসারে মিথ্যা, বিকৃত তথ্য প্রদান, তথ্য গোপন ও বিভ্রান্তিকর কাগজ দাখিল করে নিজেকে ‘শহীদ’ পরিবারের সদস্য বা আহত দাবি করে চিকিৎসা, আর্থিক, পুনর্বাসন সুবিধা দাবি অথবা গ্রহণ করেন তাহলে তিনি এই অধ্যাদেশের অধীন অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে।

এতে আরও বলা হয়, কোনও ব্যক্তি উপধারা () এ বর্ণিত অপরাধ করলে অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উপধারা () এ উল্লিখিত সুবিধা বা আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এই আইনের অধীন অপরাধ অআমলযোগ্য ও জামিনযোগ্য হবে। এই অধ্যাদেশের অধীন সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ দায়ের, অনুসন্ধান, তদন্ত, বিচার, আপিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ (অ্যাক্ট নং ভি অব ১৮৯৮) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিকলবাহা ইউপির কার্যক্রম চালাবেন ইউএনও
পরবর্তী নিবন্ধধর্ষণ থেকে বাঁচতে টেক্সি থেকে লাফ দিলেন তরুণী