নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সরকার সীমিত সামর্থ ও লজিস্টিক দিয়ে দেশের ১৮ কোটি ভোক্তার স্বার্থ সুরক্ষায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলীম আখতার খান। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সহযোগিতায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে গত ১৬ জুন চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে ‘ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচক ছিলেন– জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম ও ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ–পরিচালক ফয়েজ উল্যার স্বাগত বক্তব্যের পর সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবি আইন অনুষদের সহকারী অধ্যাপক সাইদ আহসান খালিদ। খবর বাসসের।
আলীম আখতার খান বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকার পরও নানা আইনগত জটিলতার কারণে দেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে ব্যবসায়ীরা যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন আর সাধারণ ভোক্তারা যদি আইন জেনে নিজেরা তাদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হন, তাহলে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব।
আলোচনায় অংশ নেন– সিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার মাহমুদা বেগম, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা ফারহানুল ইসলাম, সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা থোয়াইনু মং মার্মা, চিটাগাং উইম্যান চেম্বারের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আইভি হাসান, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, কাজীর দেউড়ি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সালেহ আহমদ সোলেমান, চট্টগ্রাম রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ইলিয়াছ আহমদ, বারকোড রেস্টোরেস্টের স্বত্ত্বাধিকারী মনজুরুল হক, বনফুলের জেনারেল ম্যানেজার আনামুল হক, ফুলকলির জেনারেল ম্যানেজার আবদুর সবুর, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক মো. সেলিম জাহাঙ্গীর, চট্টগ্রাম ড্রিংকিং ওয়াটার ম্যানুফেকচার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফয়সল আবদুল্লাহ আদনান, ক্যাবের জান্নাতুল ফেরদৌস, আবু হানিফ নোমান, রাব্বি তৌহিদ, সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন বলেন, একটি সমাজকে পুরোপুরি পরিশুদ্ধ হতে হলে, সকল পর্যায়ের মানুষের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তা না হলে সমাজে বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, জেলা প্রশাসন ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় যাবতীয় কর্মকাণ্ডে কাজ করে যাচ্ছে।
মূল প্রবন্ধে চবি আইন অনুষদের সহকারী অধ্যাপক সাইদ আহসান খালিদ উল্লেখ করেন, ভোক্তা সংরক্ষণ আইন, নিরাপদ খাদ্য আইন এবং ওষুধ ও কসমেটিক আইনে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো, বিশেষ করে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি সরাসরি আদালতে মামলা করতে বাধার বিষয়টি দূর করা দরকার। এছাড়াও আইন প্রয়োগে অধিকাংশ জায়গায় শিথিলতার কারণে মানুষ আইন না মানার সংস্কৃত বন্ধে জোর দেন।