দৈনিক আজাদীতে গতকাল ১৭ জুন প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত ‘রেলের জায়গায় দোকান, ভাড়া দিচ্ছেন রেল কর্মকর্তা’, শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ঊর্ধ্বতন উপ সহকারী প্রকৌশলী (টেলিকম–রেডিও) মো. নুরুল ইসলাম। এক প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে পলোগ্রাউন্ড রেলওয়ে টি এ ব্রাঞ্চ জামে মসজিদ কমিটি–মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনের বেতন পরিশোধসহ মসজিদ পরিচালনার ব্যয় নির্বাহের জন্য ৩টি অস্থায়ী দোকান নির্মাণ করেছে। আমি উক্ত মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। দোকান নির্মাণ থেকে প্রাপ্ত অগ্রিম অর্থ মসজিদের ব্যাংক একাউন্টে জমা হয়েছে। উক্ত সংবাদে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে আমার কোনো বক্তব্য গ্রহণ করা হয়নি।
বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, পাশের বাংলো থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার তথ্যটি অসত্য। প্রকৃতপক্ষে রেলওয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের অনুমোদনক্রমে মসজিদের অনুকূলে সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। আমি বা আমার পরিবারের কেউ উক্ত দোকানগুলোর মালিক ও ভাড়াটিয়া নই। আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রতিবেদকের বক্তব্য : প্রকৌশলী (টেলিকম–রেডিও) মো. নুরুল ইসলামের বক্তব্য নেওয়ার জন্য গত সোমবার ১৬ জুন বিকাল ৩টায় দোকান নির্মাণস্থল থেকে তার অফিসিয়াল মোবাইল নম্বরে পরপর ৫ বার ফোন করা হয়েছে। এরপর সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আরো ৫ বার ফোন করা হয়েছে। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি বরং ফোন কেটে দিয়েছেন।
প্রকাশিত সংবাদের কোনো অংশে তার বা তার পরিবারকে দোকান গুলোর মালিক বা ভাড়াটিয়া উল্লেখ করা হয়নি। রেলের কর্মচারীদের বরাত দিয়ে সংবাদে শুধুমাত্র উল্লেখ করা হয়েছে দোকানগুলো ঊর্ধ্বতন উপ সহকারী প্রকৌশলী (টেলিকম–রেডিও) মো. নুরুল ইসলাম নির্মাণ করছেন। এই দোকানগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য তিনি নিজের পদবী উল্লেখ করে রেলওয়ের বিদ্যুৎ বিভাগে আবেদন করেছেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে রেলওয়ের বিভাগীয় বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী অস্থায়ী বিদ্যুৎ বিভাগ সংযোগের ব্যাপারে তার সমীপে চিঠি ইস্যু করেছে। যার কপি আজাদী অফিসে তিনি জমা দিয়েছেন।