ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় অধিনায়ক লিটনের

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ৩ জুন, ২০২৫ at ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ দলের বর্তমান অবস্থা এমন হয়েছে যে, কোনদিন তিন বিভাগ ক্লিক করছেনা। একেক ম্যাচে একেক সমস্যায় পড়ছেন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। একেক দিনে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে দলের নতুন নতুন জায়গায়। হোয়াইটওয়াশড হওয়ার ম্যাচে যেমন তার চোখে দায় বোলারদের। তবে দায় যেটিরই হোক, ফলাফল তো আরেকটি পরাজয়। পাকিস্তানে হোয়াইটওয়াশড হয়ে সমর্থকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সে সাথে প্রত্যায় জানালেন ঘুরে দাঁড়ানোর। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে গত রোববার তৃতীয় টিটোয়েন্টিতে ১৯৬ রানের সংগ্রহ নিয়েও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। মোহাম্মদ হারিসের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে লক্ষ্যটাকে মামুলি বানিয়ে ১৬ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ শেষ করে ফেলে পাকিস্তান। অথচ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ২০১ রানের পুঁজি নিয়ে বাংলাদেশকে কোনো সুযোগ দেয়নি স্বাগতিকরা। প্রথম ম্যাচে তবু কিছুটা লড়াই করলেও দ্বিতীয়টিতে অসহায় আত্মসমর্পণ করে লিটনের দল। পরাজয়ে সিরিজ শুরুর পর ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং, তিন বিভাগেই বাজে পারফরম্যান্সের কথা বলেছিলেন লিটন। দ্বিতীয় ম্যাচ হারের পর শরিফুল ইসলামের ইনজুরির পাশাপাশি ব্যাটিং ব্যর্থতার দায় দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। শেষ ম্যাচে দলের ব্যাটিংয়ে খুশি লিটন। এবার তিনি ম্যাচের পর আঙুল তুললেন বোলিং পারফরম্যান্সের দিকে। লিটন বলেন অবশ্যই হতাশ। আমরা ভালো বোলিং করিনি। গত দুই ম্যাচে ব্যাটিং আর ফিল্ডিংও ভালো করিনি। সম্ভবত এই ম্যাচে এই উইকেটে খুব ভালো ব্যাটিং করেছি। গত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর লিটন বলেছিলেন, বোলারদের শারজাহ স্টেডিয়ামের মতো ছোট মাঠের কৌশল রপ্ত করতে হবে। পাকিস্তানে হোয়াইটওয়াশড হয়ে তিনি টের পেয়েছেন ভিন্ন ব্যাটসম্যানের জন্য ভিন্ন পরিকল্পনা সাজানোর প্রয়োজনীয়তা। এটি খুব ভালো উইকেট। ভিন্ন ভিন্ন ব্যাটসম্যানকে কীভাবে বোলিং করতে হয়, আমাদের শিখতে হবে। একেক ব্যাটসম্যানের একেক রকম শক্তি ও দুর্বলতা থাকে। আমাদের এসব নিয়ে ভাবতে হবে এবং সেই অনুযায়ী বোলিং করতে হবে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন পারভেজ হোসেন ও তানজিদ হাসান। দুজন মিলে ৬৪ বলে গড়ে তোলেন ১১০ রানের জুটি। পাকিস্তানের মাঠে সফরকারী ওপেনারদের এটিই প্রথম শতরানের জুটি। পারভেজ ৩৪ বলে ৬৬ ও তানজিদ ৩২ বলে ৪২ রান করে ফেরার পর আর কেউই ত্রিশ ছুঁতে পারেননি। ফলে শেষের ৫৬ বলে ৮৬ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। টাইগার অধিনায়ক বলেণ দুই ওপেনারের পাশাপাশি দলের বাকিরাও দায়িত্ব নিয়ে নিজেদের কাজটা করতে পেরেছেন। একের পর এক ম্যাচ হারলেও, সিরিজজুড়ে গ্যালারি থেকে দারুণ সমর্থন পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে তাদেরকে আনন্দের কোনো উপলক্ষ্য দিতে পারেননি লিটন, মিরাজরা। সিরিজ শেষে বাংলাদেশি সমর্থকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করলেন অধিনায়ক। তিনি বলেন দর্শক অসাধারণ ছিল। তারা সবাই সমর্থন দিচ্ছিল। দুই দলকেই সমর্থন দিয়েছে। খুব উপভোগ করেছে খেলা। আশা করি, পাকিস্তান আবার যখনই খেলবে, তারা মাঠে খেলা দেখবে। আর বাংলাদেশি সমর্থকদের কাছে আমি সত্যিই দুঃখিত। আমরা কোনো ম্যাচ জিততে পারিনি। আশা করি, আমরা ঘুরে দাঁড়াব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিরিজ হার হতাশাজনক হলেও ততটা খারাপ নয় বললেন সিমন্স
পরবর্তী নিবন্ধসিনেমা ছেড়ে কৃষক হতে চান বুবলী