সামাজিক সুরক্ষায় ভাতা ও উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ছে

| মঙ্গলবার , ৩ জুন, ২০২৫ at ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগী ও ভাতার হার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী ২০২৫২৬ অর্থ বছরের বাজেট বক্তৃতায় এ প্রস্তাব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল সোমবার বিকেল ৩টায় তিনি জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, দরিদ্র, প্রান্তিক ও ঝুঁকিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য হ্রাস, সামাজিক বৈষম্য হ্রাস, এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবারের বাজেটে সুবিধাভোগীর সংখ্যা এবং মাথাপিছু বরাদ্দ উভয়ই বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছি। এ প্রেক্ষাপটে আগামী অর্থবছর থেকে বেশ কিছু ভাতার হার বাড়ানোর প্রস্তাব করছি। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হলোবয়স্ক ভাতার মাসিক হার ৬০০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের মাসিক ভাতা ৫৫০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা, প্রতিবন্ধীদের মাসিক ভাতা ৮৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা, এবং মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আওতায় প্রদত্ত মাসিক ভাতার হার ৮০০ হতে ৮৫০ টাকায় বৃদ্ধি। এছাড়া, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য মাসিক ভাতার হার ৬৫০ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব করছি। খবর বাসসের।

অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, মূল্যস্ফীতির কশাঘাত থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে গত জানুয়ারি থেকে টিসিবির মাধ্যমে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের ভিত্তিতে ৫৭ লাখ পরিবারকে মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া, আমি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মেয়াদ আগামী অর্থবছরে ৬ মাসে উন্নীত করার প্রস্তাব করছি। একই সাথে বর্তমানে সহায়তাপ্রাপ্ত ৫০ লাখ পরিবারের অতিরিক্ত আরও ৫ লাখ পরিবারকে এর আওতাভুক্ত করার প্রস্তাব করছি।

তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যাপ্তি এবং গুরুত্ব বিবেচনায় আগামী ২০২৫২৬ অর্থবছরে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি। এক্ষেত্রে পেনশন ব্যতীত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্য ২০২৫২৬ অর্থবছরে বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়াবে ৯১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে গরু কিনে ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত
পরবর্তী নিবন্ধতরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল ঘোষণা