নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটিও কারণ নেই: সালাহউদ্দিন আহমেদ

| মঙ্গলবার , ৩ জুন, ২০২৫ at ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার মতো একটিও কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, প্রায় সব দলেরই ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের প্রস্তাবনা আছে। অবশ্যই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব এবং এর মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারও করা সম্ভব। গতকাল সোমবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সালাহউদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। কমিশনের প্রধান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই আলোচনায় বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আমাদের বিস্তারিত মতামত আমরা দিয়েছি। অনেকগুলো বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। কিছু কিছু বিষয়ে দ্বিমত থাকলেও আলাপআলোচনার মাধ্যমে কোথাও নীতিগত, কোথাও আংশিক এবং কোথাও পূর্ণাঙ্গ ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছি। খবর বাংলানিউজের।

সব রাজনৈতিক দল সব বিষয়ে একমত হবেএমনটি প্রত্যাশা করি না। তবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আমরা ঐকমত্যের কাছাকাছি গিয়েছি। সব বিষয়ে হয়তো বা ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। তবে আমরা আলোচনা চালিয়ে যাব। এটি হচ্ছে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। আমরা সেটাই গ্রহণ করবো যেটি সিদ্ধান্ত নিলে একটি সুন্দর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। যে সব প্রস্তাব জাতির বৃহত্তর স্বার্থে উপকারী হবে, শুধু সেগুলোই গ্রহণ করবো। আমরা সেই পরিবেশ সৃষ্টির জন্য দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছি, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি। ছাত্রজনতার রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা এই যুদ্ধে জয়ী হয়েছি। আমরা আমাদের শহীদদের রক্তের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী একটি গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য সেসব সিদ্ধান্ত নেব যেটিতে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র কাঠামো গঠন করা সম্ভব। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি বলেন, অবশ্যই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব এবং এর মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারও করা সম্ভব। বিশেষ করে নির্বাচনমুখী যে সংস্কার সেটিকে চিহ্নিত করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সেটি দ্রুত করা সম্ভব।

এমন কোনো সংস্কার নেই যা এক মাসের মধ্যে করা সম্ভব নয়। অর্ডিন্যান্স, নির্বাহী আদেশ ও অফিস আদেশের মধ্যে এক মাসের মধ্যে সংস্কার করা সম্ভব। সুতরাং নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার মতো একটিও কারণ নেই। এই বিষয়টি আমরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি এবং আবারও বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আমরা যেটা প্রস্তাবনা করেছি, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সেটিকে সমর্থন করেছে। প্রায় সব দলেরই ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের প্রস্তাবনা আছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা আশা করি, তিনি জাতীয় অভিভাবক হিসেবে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। কারও প্রতি ব্যক্তিগত রাগ বা অনুরাগঅনিচ্ছা প্রকাশ করবেন না। সালাহউদ্দিন আহমেদ আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ‘আলাপআলোচনার এই ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের সামনে একটি গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ সুগম হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার ও ডিসেম্বর-এপ্রিলে নির্বাচন চায় জামায়াত
পরবর্তী নিবন্ধকর্ণফুলী জল বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বেড়েছে