মনোনয়ন বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির অভিযোগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, তার স্ত্রী শেরিফা কাদের, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার মহানগর হাকিম মাসুম মিয়ার আদালতে এ আবেদন করেন জাতীয় পার্টির সাবেক সদস্য নাজমিন সুলতানা তুলি। খবর বিডিনিউজের।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদ হাসান জানান, আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশের জন্য ২৬ মে দিন ঠিক করেছেন। যাদের আসামি করার আবেদন করা হয়েছে, তারা হলেন– জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ডিবি পুলিশের সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, গোয়েন্দা বিভাগের উত্তরার সাবেক ডিসি আকরাম, সাবেক এডিসি নাজমুল, বিমানবন্দর জোনাল টিমের এসআই পবিত্র সরকার ও জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সাইদুল ইসলাম।
মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, জি এম কাদেরের প্রত্যক্ষ মদদে অন্য আসামিরা ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন। নাজমিন সুলতানা তুলিকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে বার্তা দেওয়া হয়।
এ নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে বাদী প্রতিবাদ করলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং এতে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বৃদ্ধি পায়। পরে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পুলিশের কয়েকজন ও অচেনা ৪০–৫০ জনকে বাদীর বাসায় পাঠানো হয়। ঘটনার দিন ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর তারা বাদীর বাসার দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র, ৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, মোবাইল, ল্যাপটপসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। বাদী এসব নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।