বাবাকে ১৩ দিন বিছানায় বেঁধে রেখে নির্যাতন দুই ছেলে গ্রেপ্তার

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১০ মার্চ, ২০২৫ at ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ

নগরের পশ্চিম বাকলিয়ার শান্তিনগর নিরাপদ হাউজিংয়ে বৃদ্ধ পিতাকে ১৩ দিন বেঁধে রেখে ‘নির্যাতন’ চালানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই বৃদ্ধের দুই সন্তানকে। ধৃতরা হচ্ছেন এ আবদুল আওয়াল ও আবদুর রহিম। শনিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা না হওয়ায় ৫৪ ধারায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, আবদুল ও রহিম দুই ভাই তাদের বৃদ্ধ বাবা খুইল্ল্যা মিয়াকে ১৩ দিন ধরে খাটের উপর হাতপা রশি দিয়ে চারদিকে বেঁধে রেখে নির্যাতন করেন। বিষয়টি পাশের ভবনের একজন দেখে ফেললে জানাজানি হয়। পরে শনিবার রাতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।

সাতকানিয়া উপজেলার বাসিন্দা খুইল্ল্যা মিয়া নগরে বাড়ি করেছেন। দীর্ঘদিন প্রবাসেও ছিলেন তিনি। তিন ছেলে ও তিন মেয়ের জনক। খুইল্ল্যা মিয়ার তিন ছেলের মধ্যে ছোট ছেলের বয়স নয় বছর। বাকি দুজনের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। নিরাপদ হাউজিংয়ে চার কাঠা জমিতে খুইল্ল্যা মিয়ার চারতলা একটি ভবন আছে। ভবনটি লিখে নেওয়ার জন্য বড় দুই ছেলে তাকে খাটের সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্যাতন করেছেন বলে ধারণা স্থানীয়দের। খুইল্ল্যা মিয়াকে উদ্ধার করতে যাওয়া চকবাজার থানা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় থাকে খুইল্ল্যা মিয়ার পরিবার। পাশের আরেকটি ভবনের বাসিন্দারা তাকে খাটে হাতপা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান। সেটি পরে বিভিন্নজনের মাধ্যমে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। তখন বিষয়টি শুনে পুলিশ নিয়ে আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। এ সময় তাকে চার হাতপা নাইলনের রশি দিয়ে টানা দিয়ে বেঁধে রাখা অবস্থায় দেখা যায়।

আবদুল কাদের বলেন, খুইল্ল্যা মিয়া প্রতিদিন বাসা থেকে বের হয়ে মসজিদে যেতেন। বেশ কিছুদিন ধরে তাকে না দেখে এলাকাবাসীর কৌতূহল জাগে তিনি কোথায়। পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা বলতেন তিনি অসুস্থ।

বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, অসুস্থ খুইল্ল্যা মিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে তার দুই সন্তানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা না হওয়ায় ৫৪ ধারায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার করা ব্যক্তি সুস্থ হলে মামলা করবেন, তখন সে মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরেয়াজুদ্দিন বাজারে জেলা প্রশাসক, সাথে মোবাইল কোর্ট
পরবর্তী নিবন্ধনাসার নজরুলের তিন দেশের সম্পদ জব্দের আদেশ